সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাণিজ্যমেলা, প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, শিশুদের ২৫

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) ২৮তম আসরের পর্দা উঠেছে। রবিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। মাসব্যাপী এ মেলা অন্যান্য বছরগুলোর মতোই প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে। আর মেলায় প্রবেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য করা হয়েছে ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সংস্থাটি জানায়, মেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এবার মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরা বা মতিঝিল থেকে যারা মেলায় আসবে তারা মেট্রোরেল এসে ফার্মগেট থেকে বাসে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোজা মেলায় চলে আসতে পারেন সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন এ বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
প্রতিবারের মতো এবারও বাণিজ্য মেলার মূল আকর্ষণ বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মিত মেলার প্রবেশ পথ দিয়ে মূল প্রদর্শনী কেন্দ্রে ঢুকতেই চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এ প্যাভিলিয়ন।
বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও তার সম্পর্কিত পুস্তকাদি এবং তার জীবন ও কর্মভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, হংকং ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। মেলায় এসব দেশের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এলএম/এসএম)

মন্তব্য করুন