বিপিএল: দাসুন শানাকা-মোহাম্মদ নওয়াজ জুটিতে ১৬০ রানে থামল খুলনা

চলতি বিপিএলে ঢাকা পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা খুলনা টাইগার্স সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছে।
ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচেই জয় পওয়া খুলনা এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ রানেই প্রথম উইকেট হারায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা খুলনা ৬৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। এরপরেই দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজ। এই জুটির ৭৭ রানে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। জয়ের জন্য রংপুরের দরকার ১৬১ রান।
খুলনার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস। তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। ৭ বলে শূন্য রান করা বিজয় মাহেদী হাসানের বলে ডিপ মিড উইকেটে রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তার বিদায়ে মাত্র ২ রানেই ওপনিং জুটি ভাঙে খুলনার।
এনামুল হক বিজয়ের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ও। দলীয় ৩৯ রানে মাহেদী হাসানের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। মাহেদীর বলে লং অনে ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। আউট হওয়ার আগে করেন ১১ বলে ৭ রান।মাহমুদুল হাসান জয়ের পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান আফিফ হোসেনও। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে হাসান মাহমুদের বলে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
আফিফের পর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার এভিন লুইসও। তাকেও ফেরান হাসান মাহমুদ। আর মজার বিষয় তার ক্যাচটিও তালুবন্দী করেন নুরুল হাসান সোহান। ২৫ বলে ৩৭ করেছেন আজ তিনি। তার বিদায়ে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে।
৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনে মিলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড আউট হয়ে ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন দাসুন শানাকা। লঙ্কান অলরাউন্ডার ফিফটি মিস করলেও বিপিএল খেলতে নেমেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন নেওয়াজ। রিপন মণ্ডলের শিকার হওয়ার আগে ৩৪ বলে করেন ৫৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
রংপুরের হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, ২০ রানে মাহেদি হাসানের শিকার ২ ব্যাটার। এক ম্যাচ পর দলে ফিরে চার ওভার বল করেও উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও ছিলেন মিতব্যয়ী (৪-০-২১-০)। ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১০টি দিয়েছেন ডট, খেয়েছেন ২টি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১ রান। (ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন