মিয়ানমারে সংঘর্ষ, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

​​​​​​​কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সশস্ত্র আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সীমান্তের দুই পারে। আতঙ্কগ্রস্ত সাধারণ রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে রাজ্য ছাড়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গাদের সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিবি।

টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছে বিজিবি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

এদিকে সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলা গোলাগুলির শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার হোয়াইক্যংয়ের খারাংগাগুনা উলুবনিয়া গ্রামের ৫০০ পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরুপায় হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছেন তারা।

সোমবার তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী।

তিনি বলেন, ‘তুমব্রুর পর এবার টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সীমান্তের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। খারাংগাগুনা উলুবনিয়া গ্রামের ৫০০ মানুষ ঝুঁকিতে আছে। এসব পরিবারের শিশুরা গুলির শব্দ শুনে ভয়ে ঘুমাচ্ছে না।

হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফ নদের তীরে খুব গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

সীমান্তে বসবাসকারী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গোলাগুলির বিকট শব্দে এপারের লোকজন আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। হোয়াইক্যংয়ের নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার মানুষ ভয়ের মধ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের তালিকা তৈরি করেছেন। আমরা অনেক ভয়ে আছি।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়ি ঘরে থাকতে পারছি না। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে একটি গুলি এসে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই সীমান্তের ওপারে মর্টারশেল গুলির শব্দে নিজেদেরকে অনিরাপদ মনে করছি। সন্তান নিয়ে রাতে দিনে সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, ‘টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া, তুলাতুলি কানজরপাড়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারে সপ্তাহজুড়ে চলছে প্রচুর গোলাগুলি। ভয়ে আমরা বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছি না। চিংড়ি ঘেরেও যেতে পারছি না।

টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :