ফেনীতে বর্জ্যের চরম অব্যবস্থাপনা, দূষণ ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ  

মোকাররম হোসেন পিয়াস, দাগনভূঞা (ফেনী)
| আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯ | প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০০

ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের দাগনভূঞা কৃষ্ণরামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিপরীতে উন্মুক্ত স্থানে পৌরসভার পুড়িয়ে ফেলা বর্জ্যের দূষণে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দাগনভূঞা পৌরসভার স্থায়ী ডাম্পিং এখনও ব্যবস্থা না হওয়ায় ইকবাল কলেজের সামনে, থানার সামনে, সালামনগর ব্রিজের সামনে সর্বশেষ উক্ত স্থানে পৌরসভার সকল আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যাতে পরিবেশ, বাতাস, মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা হচ্ছেন অসুস্থ। এছাড়া বিকালের দিকে ওইসব আবর্জনায় আগুন দেওয়ায় আশপাশে ছড়াচ্ছে দূষণের বিষ।

ময়লার স্তুপের সামনে অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিসে বিল দিতে আসা মো. অনিক জানান, প্রচুর দুর্গন্ধ ও ধোয়ার গন্ধে অফিসে যেতে খুবই কষ্ট হয়।

কৃষ্ণরামপুরের বাসিন্দা মো. আবু হাছান ভূঁঞা বলেন, আমার বাড়ির পাশেই ময়লার স্তুপ। সারাদিন মাছি খুবই বিরক্ত করছে। আমার স্ত্রীর ইতোমধ্যেই খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যেই তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে হবে। উক্ত বিষয়ে আমিসহ এলাকার অনেকেই মেয়র সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি।

ময়লার স্তূপের পাশেই দোকানি মো. বাবুল জানান, কাছেই ময়লা স্তূপ থাকায় সারাদিন দোকানে মাছি উড়ছে। অসহনীয় দুর্গন্ধে দোকানে থাকাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতা আসলেও তারা নাক বন্ধ করে কোনোরকমে চা খেয়ে চলে যাচ্ছে।

ওই মহাসড়ক দিয়ে নিয়মিত সিএনজিচালক জাকের হোসেন জানান, স্তূপের পাশে দিয়ে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যেতে হয়। গাড়ি চালানোর কারণে নাকে হাতও দিতে পারি না। আল্লাহই ভালো জানে শরীরের কী ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে?

উপজেলা কৃষি অফিসার মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, উক্ত স্তূপ থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান বৃষ্টি বা অন্য কোনো মাধ্যমে পানির সঙ্গে মিশে খালে গেলে আশেপাশের এলাকাগুলোয় খাল থেকে পানি দিলে ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়বে।

দাগনভূঞার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা বাতাসের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়ায়। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থাকে।

দাগনভূঞা উপজেলার নির্বাহী অফিসার নিবেদিতা চাকমা জানান, এ বিষয়ে আমরা বারবার মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। একটি ডাম্পিং প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মেয়র আমাদের জানিয়েছেন।

দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান বলেন, পৌরসভার আবর্জনার জন্য আমরা একটি প্রজেক্ট পেতে যাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :