ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত মার্কিন অভিনেতা! কতটা ভয়ংকর এই রোগ?
শতাধিক সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা ওয়াল্টার ব্রুস উইলিস। তাকে দেখা গেছে একের পর এক কমেডি সিরিজেও। ডাই হার্ড ফ্রাঞ্চাইজির অ্যাকশন হিরো হিসেবেও তার নাম রয়েছে। এমন দাপুটে অভিনেতাই এক বছরের বেশি সময় ধরে আক্রান্ত ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়ায়।
গত বছর অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়। সে সময় জানানো হয়েছিল, অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন ব্রুস। অ্যাফ্যাসিয়ার কারণে কগনিটিভ কার্যক্ষমতা অর্থাৎ, কোনো কিছু বুঝতে বা ভাবতে পারা এবং সমস্যার সমাধান করতে পারার ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে তার।
গত বৃহস্পতিবার অভিনেতার পরিবারই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় তার ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা। দুঃখের হলেও শেষ পর্যন্ত সঠিক রোগটি নির্ণয় করা গেছে বলেও জানানো হয় পরিবারের তরফ থেকে।
ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া রোগটি আসলে কেমন, কতটা ভয়ংকর?
ডিমেনশিয়ারই একটি বিশেষ ধরন হলো ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া। তবে অন্যান্য ডিমেনশিয়ার তুলনায় এই রোগটি অনেকটাই বিরল বলা যায়। ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের কোষগুলোর একটি বিশেষ রোগ। এর ফলে কথা বলা ও ভাবার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কগনিটিভ কার্যক্ষমতা ব্যাহত হতে থাকে দিন দিন।
অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ বা ডিমেনশিয়ার কয়েকটি সাধারণ ধরনের মধ্যে রয়েছে ভাসকুলার ডিমেনশিয়া ও লিউয়ি বডি ডিমেনশিয়া। তবে বিরল ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া সাধারণত মাঝ বয়সে বা শেষ বয়সে দেখা দেয়।
রোগের নেপথ্যে আসলে কী?
মস্তিষ্কের কোষে ক্ষতিকর প্রোটিন জমা হতে থাকলে তা কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয়। এই ঘটনাই যদি মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল ও টেম্পোরাল লোবে ঘটে, তখন তাকে বলে ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া।
মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব কপালের পেছনে থাকে। টেম্পোরাল দুই কানের পাশে থাকে। এই রোগে মস্তিষ্কের কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে কথা বলার ক্ষমতা চলে যেতে পারে। পাশাপাশি ব্যবহার ও কোনো কিছু ভাবার কাজেও সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
এই রোগের চিকিৎসা কী?
এখনো পর্যন্ত এই রোগের কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। লক্ষণগুলোও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সাধারণত এই রোগ ধরা পড়ার পর রোগী ৮ থেকে ১০ বছর বাঁচেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগী আরও বেশি দিন বাঁচতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারেন না।
(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এজে)