বই পড়তে সন্তানদের উৎসাহিত করুন: এ.কে. আজাদ
বাংলা ভাষ আমার মায়ের ভাষা, বাংলা ভাষা আমার ভাষা, বাংলা ভাষা আমাদের সন্তানদের ভাষা। এই ভাষাটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বই পড়বো, সন্তানদের বই পড়তে উৎসাহিত করবো। কথা গুলো বলেছেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরে অমর একুশে বই মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯ দিন ব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.কে আজাদ আরও বলেন, আমাদের সংস্কৃতির অবক্ষয় হয়েছে। একসময় এ ধরনের বই মেলার আয়োজন স্থানীয় লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা করতেন। এখন জেলা প্রশাসক আয়োজন করে আমাদের দাওয়াত করে এনেছেন। ফরিদপুরে এমন চিত্র ছিল না। ফরিদপুর ছিল সাহিত্যে ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ নগরী। একসময় ফরিদপুরের সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা ছিল একটি জাগ্রত সংস্থা। আজ সেটিও ঘুমন্ত অবস্থায় আছে। এটাকেও ঘুম থেকে জাগাতে হবে। আমরা আগামী বছর এই চিত্র পুরোটা পাল্টাতে চাই। সবাই মিলে উদ্যোগী হলে আমরা ফরিদপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চেহারা পাল্টে দিতে পারি। আগের যে শিক্ষা সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুর ছিল তা ফিরিয়ে আনতে আগামীতে এই অঙ্গনের মানুষেরাই আয়োজন করবেন, সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অতিথি হয়ে আসবেন, সেটাই হবে গৌরবের।
বই মেলা আয়োজন করার জন্য জেলা প্রশাসক ও তার সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, যে কাজটি ফরিদপুরের মানুষের করার কথা সেটি আপনারা করে শিক্ষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও এগিয়ে নিতে নিজেদের কাজ কর্মের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে ফরিদপুর কে সমৃদ্ধ করছেন।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেন, প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহামুদা বেগম, ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান শামীম, এনজিও ব্যক্তিত্ব ও নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে নতুন অতিথিদের প্রকাশিত নতুন বই উপহার দেওয়া হয়। পরে বই মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবশেন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এর আগে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)
মন্তব্য করুন