‘দঙ্গল’ কন্যার প্রাণ নেওয়া ডার্মাটোমায়োসাইটিস কতটা ভয়ংকর রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮
বৃত্তের ভেতরের ছবিতে প্রয়াত অভিনেত্রী সুহানি ভাটনগর, ২০১৬ সালে ‘দঙ্গল’ সিনেমার দৃশ্যে।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রাণ হারিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার আমির খানের পর্দার মেয়ে সুহানি ভাটনগর। ‘দঙ্গল’ সিনেমায় যাকে ভারতীয় কুস্তিগীর ববিতা ফোগটের ছোটবেলার চরিত্রে দেখা যায়। সেই সুহানি দুই মাস বিরল রোগ ডার্মাটোমায়োসাইটিসে ভুগে মারা গেছেন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি।

সুহানির মৃত্যুর পর থেকেই ডার্মাটোমায়োসাইটিস রোগটি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। সবারই জানার আগ্রহে, কতটা ভয়ংকর এই রোগ? ঝুঁকিই বা কাদেরই বেশি? চলুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

ডার্মাটোমায়োসাইটিস কী?

বিরল এই অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হলে পেশীর কানেকটিভ টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে রোগী।

বিশ্বে কয়েক কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনের শরীরে এই রোগ হানা দেয়। এই রোগ খুব তাড়াতাড়ি গুরুতর অবস্থার দিকে চলে যেতে পারে। তাই শুরুতেই অসুখের লক্ষণের দিকে নজর না ফেরালে মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে।

এই রোগের কারণ কী?

শরীরে এই রোগ কী কারণে হানা দেয়, তা জানা যায়নি এখনও। তবে চিকিৎসকদের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই রোগের পথ প্রশস্ত হয়। এছাড়া দূষণ, সূর্যের ইউভি রে-ও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যেসব উপসর্গ দেখলে সাবধান হবেন

ডার্মাটোমায়োসাইটিসে প্রাণ হারানো অভিনেত্রী সুহানির পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুই মাস ধরে এই সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে তার ত্বকে লালচে বেগুনি রঙের ছোপ দেখা দেয়। এই লক্ষণকে পিগমেন্টেশন বলে ভুল করেছিলেন তারা। তারপর ধীরে ধীরে হাত ফুলে উঠেছিল সুহানির। এমনকি সারা গায়ে ফোস্কা পড়ার মতো লাল লাল ব্লিস্টারের দেখা মিলেছিল।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে ডার্মাটোমাইসাইটিস বাসা বাঁধলে একাধিক পেশীর কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। সেই কারণেই শুয়ে থাকলে উঠে বসতেও কষ্ট হয়। এমনকি সামান্য চুল বাঁধতে গেলেও ব্যথা করে। পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রী সুহানির ক্ষেত্রে তার ফুসফুসের পেশী দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যার জেরে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছি তার।

রোগের ঝুঁকি কাদের বেশি?

শিশু থেকে প্রবীণ- যে কেউই আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে। ৫ থেকে ১৫ এবং ৪০ থেকে ৫০ বয়সিদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। লিঙ্গগত হার দেখলে, পুরুষদের থেকে মহিলাদের শরীরেই বেশি হানা দেয় এই রোগ। তাই ত্বকে কোনোরকম পরিবর্তন, ফোসকা জাতীয় কিছু দেখলে এড়িয়ে না গিয়ে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :