বইমেলায় কাঞ্চন রানী দত্তের দুটি শিশুতোষ গল্পের বই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০০

এবারের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল কথাসাহিত্যিক কাঞ্চন রানী দত্তের দুটি শিশুতোষ গল্পের বই। বই দুটি হলো ‘ভূতের ডাক্তার’ এবং ‘দৈত্য ও পরীর বিয়ে’।

‘ভূতের ডাক্তার’ এর গল্পটা এরকম- এক হাসপাতালে গভীর রাতে শুধু ভূতদের চিকিৎসা করেন এক আজব ডাক্তার। তবে সবদিন সব ভূতের চিকিৎসা তিনি করেন না। শনিবারে হয় হরিণ ভূতের চিকিৎসা। রবিবার বিড়াল ভূত। সোমবার অতিথি পাখি ভূত। মঙ্গলবার অফডে। বুধবার ডাকাত ভূত। বৃহস্পতিবার গৃহকর্মী ভূত আর শুক্রবারে বাঘ ভূতদের চিকিৎসা করা হয়। সেই ডাক্তারের কাছে ভূতরা আসে নানা সমস্যা নিয়ে...।

সম্পূর্ণ রঙিন এ বইটি প্রকাশ করেছে বইপুস্তক প্রকাশন। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন কার্টুনিস্ট মেহেদী হক। বইটির দাম ১৫০ টাকা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫৭১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে মজার বইটি।

‘দৈত্য ও পরীর বিয়ে’ বইয়ের গল্প: জলপরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে এক শিংওয়ালা দৈত্যকেই বিয়ে করবে। এই খবরে পরীদের সমাজে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সবাই জলপরীকে ছিঃ ছিঃ করছে। পরীদের রানী আকাশপরী বললো, তুমি পরী। তুমি সুন্দরী, তুমি কেন একটা দৈত্যকে বিয়ে করবে? জবাবে জলপরী বললো- আমি এতিম। আমার সবকথা দৈত্যকে বলেছি। সে আমার জন্য জীবন দেবে, সব বিপদে পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছে। তাছাড়া আমি ওকে ভালোবাসি। এরপর নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিয়ে হলো দুজনের। হারানো শিংটাও খুঁজে পেল বর দৈত্য।

খুশবু প্রকাশন থেকে প্রকাশিত সম্পূর্ণ রঙিন এ বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন নাইমুর রহমান মাহির। দাম ১৫০ টাকা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭৩০ নম্বর স্টলে।

বই দুটি প্রসঙ্গে লেখক কাঞ্চন রানী দত্ত বলেন, “শিশুতোষ গল্প লেখার ক্ষেত্রে আমি তাদের আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি দিকনির্দেশনামূলক কিছু ম্যাসেজও দেয়ার চেষ্টা করি। সর্বোপরি আমার চেষ্টা থাকে তাদের কল্পনার রাজ্যকে বিস্তৃত করা।”

দুই দশক ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত কাঞ্চন রানী দত্ত। ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় লিখেছেন নারী অধিকারবিষয়ক অসংখ্য ফিচার ও নিবন্ধ। এরপর কিছু দিন বিরতি ছিল। বিলতি শেষে মৌলিক লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন তিনি। ২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘বিন্দু বিসর্গের দ্বন্দ্ব’। বইটি পাঠকমহলে সাড়া ফেলে। এরপর ২০২২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘শিশির নন্দিনী’। এই বছর আরও তিনটি শিশুতোষ গল্পের বই প্রকাশিত হয়। সেগুলো হলো- ‘পাপন ও মারিয়ো’, ‘তেলাপোকার শুঁড়ে ইঁদুরের লেজ’ ও ‘জলময়ূরের ছবি’।

এসব বইয়ে গল্পের ছলে দারুণভাবে শিশুদের মনোজগতের নানা দিক উন্মোচন করেছেন লেখক।

গত বইমেলায়ও প্রকাশিত হয়েছিল তার দুটি শিশুতোষ গল্পের বই- ‘ঘোড়ার পিঠে হাতি’ ও ‘ময়নার বায়না’। এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে ছোটগল্পের বই ‘মেঘসীমানার শূন্যরেখায়’।

‘প্রিয়দর্শিনীর অপ্রিয় কথন’ ও ‘অনুভূতির অশেষ পথচলা’ তার আলোচিত দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ।

(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :