শ্রীদেবীর মৃত্যুর অর্ধযুগ: রহস্যের জট খোলেনি আজও

হিন্দি সিনেমার জগৎ বলিউডের প্রথম সুপারস্টার নায়িকা শ্রীদেবী। তার মৃত্যুর ছয় বছর পুর্ণ হয়েছে আজ শনিবার। অভিনেত্রীর ফেরা হয়নি সাধের মুম্বাইয়ে। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলের বাথটবে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। ময়নাতদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। চার দিন পর কফিনবন্দি হয়ে মুম্বাইয়ে ফিরেছিলেন তিনি।
আসলেই কি বাথটাবের পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলেন শ্রীদেবী? ছয় বছর পর অভিনেত্রীর সেই মৃত্যুরহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। কারণ, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বাথটবের ওইটুকু পানিতে ডুবে কীভাবে মারা যায়, তা এখনো বড় প্রশ্ন শ্রীদেবীর ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে। সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আজও মেলেনি।
সে সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে শ্রীদেবীর দেবর অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর বলেছিলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। পরে শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ বদলে যায়। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে দুবাই পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাবশত বাথটবের পানিতে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে।
‘চাঁদনী’ খ্যাত সেই অভিনেত্রী ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে বড় মেয়ে অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, মাকে হারানোর সময়ের চেয়ে মায়ের সঙ্গে তিনি অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন। যদিও তার মন খারাপ। কারণ, মায়ের না থাকার দিনের সংখ্যা প্রতি বছরই একটু একটু করে বাড়ছে।
২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশি কাপুরকে নিয়ে দুবাইয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন, সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন উপলক্ষে তার জন্য কেনাকাটাও করবেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। অভিনেত্রীর মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে এরপর থেকেই ঘটনার ভিন্ন বক্তব্য মেলে।
শোনা যায়, শুধু খুশি কাপুর নয়, বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুর এবং শ্রীদেবীর প্রযোজক স্বামী বনি কাপুরও ওই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা মুম্বাইয়ে চলে আসেন। অন্য একটি সংবাদমাধ্যম অবশ্য দাবি করেছিল, বিশেষ কাজের জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না বনি কাপুর। তিনি একটি বৈঠকের জন্য লখনউ ছিলেন। সেখান থেকেই ফের দুবাইতে যান বনি।
কিন্তু সত্যি কি বনি কাপুর বিয়েতে গিয়েছিলেন? গিয়েও যদি থাকেন, তাহলে স্ত্রীকে একা রেখে মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছিলেন কী কারণে? আর চলেই যদি এসেছিলেন, আবার ফিরলেন এমন দিনে, যেদিন শ্রীদেবীর মৃত্যু হলো। অনেকে তো শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার স্বামীকেই দায়ী করেন। এই নিয়ে ধন্দ কাটেনি। তাই অভিনেত্রীর মৃত্যুর রহস্য জট আজও খোলেনি।
(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন