বরই খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু: অজানাই রইল সেই ভাইরাস রহস্য
রাজশাহীতে গাছতলায় কুড়িয়ে পাওয়া বরই খাওয়ার পর জ্বর আসে দুই শিশুর। এরপর অল্প দিনের ব্যবধানে মারা যায় দুই শিশু। অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল রাজশাহী যায়। তবে দলটি এখনও উদঘাটন করতে পারেনি কোন সেই অজানা রোগ, যার কারণে অকাল মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর।
আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ তদন্ত করতে আমাদের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী গেছে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন ও তার স্ত্রী পলি খাতুন দুই শিশু মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাসিয়াকে নিয়ে কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কোয়ার্টারের গাছতলা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া বরই না ধুইয়ে দুই মেয়েকে খেতে দেন তাদের গৃহকর্মী। পরদিন বুধবার সকালেই ছোট মেয়ে মারিশা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বারবার পানি খেতে থাকে এবং দুপুরে বমি করতে থাকে। বিকালে মারিশাকে নিয়ে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মারা যায়। রাতেই তাকে দাফন করা হয়। পরে একদিনের ব্যবধানে শুক্রবার সকালে বড় মেয়ে মাসিয়ারও জ্বর আসে।
মৃত্যুর পর মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ (র্যাশ) দেখতে পান তার মা-বাবা। একই লক্ষণ দেখা যায় মাসিয়ারও। পরে তাকে দ্রুত রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় রামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করেন। কিন্তু পরদিন শনিবার বিকাল ৫টায় বড় সন্তান মাসিয়াও মারা যায়।
অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত দুই বোনের মৃত্যুর পর তাদের বাবা-মাকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে ঢাকা টাইমসকে জানান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/টিএ/কেএম)