অতি উপকারী কফি যাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১১

কফি হাউজের সেই আড্ডাটা থাকুক না থাকুক, বাঙালি জীবনে এই পানীয়ের প্রতি ভালোবাসা কিন্তু এখনও অটুট রয়েছে। তাই তো আমাদের মধ্যে অনেকেই দিনে একাধিকবার ধূমায়িত কফির কাপে চুমুক দিয়েই দিন কাটান। নইলে রাতে তাদের দুই চোখের পাতা এক হতে চায় না।

তবে মনে রাখবেন, প্রাণের থেকে প্রিয় এমন একটি পানীয়ও কিন্তু সবার জন্য উপাদেয় নয়। সেই কারণেই কিছু ব্যক্তিকে কফি খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই আর দেরি না করে এমন পাঁচ ধরনের মানুষের সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক, যারা কফি খেলে ভয়াবহ শারীরিক সমস্যার খপ্পরে পড়তে পারেন।

​আইবিএস-এ চলবে না​

​ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো অসুখ থাকলে কফির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফিন এই রোগে ভুক্তভোগীদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। একবার কোলোনের হাল খারাপ হলে যে অচিরেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়ারিয়ার মতো জটিল অসুখে ভোগার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য।

বিপদের অপর নাম ওভার অ্যাকটিভ ব্লাডার​

এই রোগে দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা যায় না। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের কিছু পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেই তালিকায় কফির নামও রয়েছে। কারণ এই পানীয়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা এই রোগে ভুক্তভোগীদের বারবার প্রস্রাবে যেতে বাধ্য করে। তাই ওভার অ্যাকটিভ ব্লাডারের সমস্যা থাকলে কফির কাপে চুমুক না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

অ্যারিদমিয়া থাকলেই চিত্তির!​

হৃদগতির ছন্দপতনজনিত সমস্যার পোশাকি নাম হলো অ্যারিদমিয়া। এই রোগের ফাঁদে পড়লে কোনোমতেই কফি খাওয়া চলবে না। কারণ এই পানীয়ে থাকা ক্যাফিন কিন্তু চট করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই বড়সড় বিপদের ফাঁদে পড়তে পারেন অ্যারিদমিয়ায় ভুক্তভোগীরা।

তবে শুধু অ্যারিদমিয়া নয়, যে কোনো ধরনের হৃদরোগ থাকলেই হিসাব কষে কফি খেতে হবে। এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।

অনিদ্রা থাকলে নৈব নৈব চ…​

রাতে কি দুই চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আজই কফির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করুন। কারণ এই পানীয়ে থাকা কিছু উপাদান সরাসরি ঘুমের বারোটা বাজাতে পারে। এমনকি অত্যধিক পরিমাণে কফি খেলে বিগড়ে যেতে পারে ঘুমের সাইকেল। তাই বিশেষজ্ঞরা ইনসোমনিয়ায় ভুক্তভোগীদের কফি খেতে বারণ করেন।

উৎকণ্ঠায় ভুগলেও কফি খাওয়া চলবে না​

আমাদের মধ্যে অনেকেই সব বিষয়ে টেনশন করেন। এই ধরনের মানুষের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কফি। তাই উৎকণ্ঠায় ভুক্তভোগীদের যেনতেন প্রকারেণ কফি এড়িয়ে যেতে হবে। ঠিক একইভাবে প্রেগন্যান্সিতে এবং ব্রেস্টফিডিং করার সময়ও কফিতে চুমুক দেওয়া চলবে না।

(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :