৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ: বাঙালির ন্যায্যতার এক মহাকাব্য

আবদুল্লাহ আল মোহন
  প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১
অ- অ+

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির পথ ও ঠিকানা খোঁজার স্মরণীয় একটি দিন; স্বজাতি ও স্বাধিকারবোধে উদ্দীপ্ত বাঙালির ইতিহাসের এক অনন্যসাধারণ দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এইদিনে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন আজও এর তাৎপর্য জাতীয় জীবনে গভীরভাবে অনুভূত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর দুই যুগব্যাপী সংগ্রাম-সাধনার মধ্য দিয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা মুক্তির যে মোহনায় উপনীত হয়েছিল তাকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল অবিস্মরণীয়। পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু দলের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিপাগল বাঙালির মনে প্রত্যয়ের যে বীজ বপন করেছিলেন বিশ্বের ইতিহাসেই এটি এক বিরল ঘটনা। এমন দৃষ্টান্ত অন্য কোথাও নেই। এটিই বাঙালির গর্ব ও অহংকারের।

স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা এখন বিশ্ব-ঐতিহ্যের স্মারক। ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই ভাষণ ছিল অলিখিত। একেবারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত লাখ লাখ জনতার সামনে তিনি ভাষণটি দিয়েছিলেন। কিন্তু উপস্থিত সকলের কাছে মনে হচ্ছিল যেন তিনি একটি লিখিত কবিতা পাঠ করেছেন। এই ভাষণের কারণেই বিশ্ববিখ্যাত গণমাধ্যম তাঁকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। ভাষণটি জাতিসংঘের ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ তালিকায় স্থান পেয়েছে। যে ভাষণ ছিল বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের এক গৌরবগাথা, সে ভাষণ এখন বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। বাঙালি জাতির জন্য এ এক বড়ো অর্জন।

বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর অমর রচনা, বাঙালির এক মহাকাব্য। এ মহাকাব্য বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ধারা ও স্বাধীনতার লালিত স্বপ্ন থেকে উৎসারিত। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই এমন মহাকাব্য রচনা সম্ভব ছিল, কেননা তিনিই হলেন এ ধারার সার্থক প্রতিনিধি। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। আন্দোলনের একপর্যায়ে মার্চের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাজপথ। এরই মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উড়ানো হয়েছে। পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার এবং নির্বাচন করা হয় জাতীয়সংগীত। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিব স্বাধীনতার প্রশ্নে বা আন্দোলনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত কবে দেবেন, সেজন্যই ছিল মানুষের অধীর অপেক্ষা।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই ভাষণ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পরেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ এ ছিল একজন দক্ষ কুশলীর সুনিপুণ বক্তব্য উপস্থাপনা। বিশেষ করে ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি স্বাধীনতার কথা এমনভাবে উচ্চারণ করলেন যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না, অপরদিক তার বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতার ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও শাসকগোষ্ঠীর জন্য আদৌ সহজ ছিল না।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অত্যুজ্জ্বল দিকনির্দেশনা। এই ভাষণের প্রতিটি আহ্বান অধিকারবঞ্চিত দেশবাসীর হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করে। তাই আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক ও বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা বাণীর সেই দিনটিতে আমরা আবারও নতুন করে শপথ নিই- ‘এবারের সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ মনে করেন- প্রায় ১৮ মিনিটের এই ভাষণে সবদিকই উঠে এসেছিল। ‘এই একটি ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। স্বাধীনতার বীজ তিনি বপন করেছিলেন।’ ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকো।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু একটা গেরিলা মুক্তিযুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বস্তুত বাংলাদেশের স্বাধীনতারই ঘোষণা। একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে দেশের অভ্যন্তরে কিংবা বহির্বিশ্বে যাতে চিহ্নিত না হন, এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সদা সতর্ক ছিলেন।

‘রাজনীতির কবি’র ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বাঙালির ন্যায্যতার এক মহাকাব্য’ হিসেবে আমরা দেখতে চাই। সংখ্যা নয় যুক্তির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবিচল আস্থার কথা উল্লেখ করতেই হয়। ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের একটা অংশ যেখানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমি বললাম, এসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো- এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও একজনও যদি সে হয় তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।’ এর মধ্য দিয়ে ন্যায্যকথার প্রতি এবং জনগণের ন্যায্য অধিকারের প্রতি এককভাবে লড়ার বঙ্গবন্ধুর যে দৃঢ় আস্থা-বিশ্বাস, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এটি নীতি ও ন্যায্যতার প্রশ্নে গণতন্ত্রের আরেক অনন্যসাধারণ সংজ্ঞা। জনগণের, এমনকি সে শত্রু হলেও, ন্যায্যকথা গ্রহণের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে যে আস্থা ও বিশ্বাস তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা থেকেই তার মহত্ত্বের এবং ৭ই মার্চের ভাষণের যথার্থতার প্রমাণ মেলে। যদিও দেখতে পাই আমাদের সমাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখি তথাকথিত সংখ্যাগুরুর বিভ্রান্তির অবিনাশী অত্যাচার। এই সমাজ সংসারে সংখ্যাধিক্যের মিথ্যাচারের বদলে সংখ্যালঘুর বিজ্ঞানমনস্কতার, যুক্তিবাদিতার বিচার গ্রহণ মানসিকতা যে কবে প্রতিষ্ঠিত হবে! ‘ন্যায্য’ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তির প্রতি জাতির জনকের মনোভাব দেশ ও সমাজের সর্বত্র দেখতে পাবার প্রত্যাশায় ‘বাঙালির ন্যায্যতার এক মহাকাব্য’ নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।

৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত ভাষণটি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সে সময় যেসব মন্তব্য করেছে তা খুবই গুরুত্বের দাবি রাখে। কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছেন- ‘৭ই মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধু ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।’ এছাড়া তিনি বলেছেন- ‘আমি হিমালয় দেখিনি, তবে আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমতুল্য। আর এভাবেই আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।’ ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ সে সময় বলেছিলেন- ‘পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য তা অনুপ্রেরণার উৎস।’

আমরা সকলেই জানি যে- ‘নিউজউইক’ সাময়িকীর বিখ্যাত রিপোর্টে বঙ্গবন্ধুকে অভিহিত করা হয়েছিল- ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ হিসেবে। ‘৭ই মার্চের ভাষণ কেবল একটি ভাষণ নয় এটি একটি মহাকাব্য। এই মহাকাব্যের মাধ্যমে তিনি ‘রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি পান।’ ১৯৯৭ সালে টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘শেখ মুজিব ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন’। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৭১-এর এক প্রতিবেদনে সে সময় বলা হয়েছিল- ‘শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌলিক ঘোষণা। পরবর্তীকালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে ঐ ভাষণেরই আলোকে।’

এছাড়া আমাদের এই ৭ই মার্চের ভাষণ বৈশ্বিকভাবে একাডেমিক স্বীকৃতিও পায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১ থেকে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার বছরের সেরা ভাষণ নিয়ে ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ২২৩ পৃষ্ঠার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস- দ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টোরি’ নামের ওই গ্রন্থ সংকলন করেছেন জ্যাকব এফ ফিল্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ দিয়ে শুরু করা সংকলনের শেষ ভাষণটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের। বইটির ২০১ পৃষ্ঠায় ‘দ্য স্ট্রাগল দিস টাইম ইজ দ্য স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স’ শিরোনামে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর এই ৭ই মার্চের ভাষণ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ১২টি ভাষায় এই ভাষণ অনূদিত হয়েছে। তাই এখন শুধু বাংলাদেশ নয়- সারা বিশ্বের প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানতে পারছে দেশের দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করেছিলেন, কীভাবে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না দিয়ে কীভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয় সেই শিক্ষাও দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই একমাত্র ভাষণ যার মধ্য দিয়ে গোটা বাঙালি জাতি সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, সন্দেহ-অবিশ্বাস ঝেড়ে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন শোষণের শৃঙ্খল ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত সংগ্রামের সূচনা। একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই হচ্ছে বিশ্বসেরা ভাষণ। অনেকে এ ভাষণকে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ১৮৬৩ সালের বিখ্যাত গেটিসবার্গ বক্তৃতার সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। আব্রাহাম লিংকনের সে ভাষণও ছিল সংক্ষিপ্ত (মাত্র ৩ মিনিট) ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, পর্যালোচনা হয়েছে, বিশ্লেষণ হয়েছে, এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিন্তু এ ভাষণের পর তৎকালীন সময়ে বাঙালি জাতির ওপর কী প্রভাব পড়েছে বা মানুষ কীভাবে দ্রুত স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে সেটি খুব আলোচনা হয়নি- যা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো খুবই জরুরি।

আবদুল্লাহ আল মোহন: লেখক, গবেষক ও সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ভাসানটেক সরকারি কলেজ, ঢাকা

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দুদিনের কর্মসূচি শুরু আজ: দাবি আদায়ে সরকারকে চাপ প্রয়োগসহ বিশ্বে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন দুজন গবেষক ও এক প্রতিষ্ঠান
চট্টগ্রামে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রীকে পুলিশের দিলেন বৈষম্যবিরোধীরা
বাণিজ্য বাধা কমিয়ে আনতে সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে জোর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা