জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চরমোনাই পীরের উদ্বেগ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষকরা। আজ শিক্ষকদের চরিত্র যদি এমন, তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে? এমন লম্পট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হন কীভাবে? শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, দেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা বিচার চেয়ে দিনের পর দিন অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যা না, এটা একটি খুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মানসপটে যদি অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে নারীরা দেশের কোথাও নিরাপদ নয়।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী বিধান মেনে সর্বস্তরে শিক্ষার ব্যবস্থা মেয়েদের জন্য থাকলে এবং সেখানে নারীদের দ্বারা পরিচালনা করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ইসলাম নারীদের শুধু সমান অধিকার নয়, অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইসলামের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে নারীরা কোথাও কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবে না।
তিনি বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী শিক্ষক ও সহপাঠীসহ সকলকে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যাতে লম্পটগুলো এমন শাস্তি দেখে এহেন অপকর্ম থেকে বিরত থাকে। সেইসঙ্গে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির সাথে জড়িতদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষরুপী লম্পট কিছু শিক্ষক হিজাব নিষিদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। আসলে যাদের চরিত্র খারাপ তারাই কেবল ইসলামের বিধি-বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলে। তিনি নারীদের হিজাবের বিধান অনুসরণ করার আহ্বান জানান এবং যারা স্বেচ্ছায় হিজাব বা পর্দা করবে তাদের সেই সুযোগে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই মর্মে আইন পাস করার আহ্বান জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/জেবি/এআর)