শেরপুরে নির্যাতনের মামলায় নৌবাহিনীর সদস্য কারাগারে
শেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় শাহাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক নৌবাহিনীর সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই জাহিদ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ওই আদেশ দেন।
শাহাদুল জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেনুয়ারচর গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে। তিনি প্রেষণে কাতার কোস্টগার্ড মিশনে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার নৌবাহিনীর হাজী মহসিন ইউনিটের অর্ন্তভুক্ত সৈনিক।
শাহাদুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এএসএম রওশন কবীর আলমগীর।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনীর খুলনা মংলা কোস্টগার্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৭ বছর আগে স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে কুয়েত মিশনে যান শাহাদুল। বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন তিনি। ওই অবস্থায় শাহাদুল ছুটিতে দেশে ফিরলে ২০২২ সালের ৫ জুলাই শেরপুর শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় সন্তানদের সাথে নিয়ে স্ত্রী শাপলা স্বামীর কাছে ভরণপোষণসহ দাম্পত্য অধিকার দাবি করলে স্বামী উল্টো ২০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় এক পর্যায়ে শাপলাকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেন শাহাদুল।
ওই ঘটনায় শাপলা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই শেরপুরের আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শাহাদুল ফের মিশনে চলে যান। দীর্ঘ দিন ওই মামলায় পলাতক থাকার পর গত ১৩ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে আপসে স্ত্রীকে নিয়ে ঘর-সংসার করার শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান । কিন্ত জামিনে গিয়ে আপস না করে গত ১৮ মার্চ শাহাদুল তার স্ত্রী শাপলাকে তালাক দিয়ে কাগজ পাঠিয়ে দেন।
এ অবস্থায় শাহাদুল রবিবার আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানালে আদালত উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযোগ রয়েছে, শাহাদুল স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে গোপনে আরও একটি বিয়ে করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)