গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরত হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। টানা ১৭৩ দিন ধরে ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। আরও প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
বুধবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১০২ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু এবং ৯ হাজার নারী রয়েছেন।
এছাড়া আহত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং ৬ হাজারের বেশি নারীসহ কমপক্ষে ৭৪ হাজার ৮৮৯ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার মানুষের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
প্রায় ছয়মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন