সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড: চুক্তিভঙ্গ করায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি কমিটির আলোচনা স্থগিত

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৬

চুক্তি ভঙ্গ করে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিম ন্যাশনাল ফ্রন্টেরে (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বান্দরবান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। কমিটি বলছে, গত ২ এপ্রিল তারাবির নামাজরতদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করা, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও কৃষি ও সোনালী ব্যাংক লুট করার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলা পরিষদে সম্মেলন কক্ষে বান্দরবান শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই নিন্দা জানানো হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলাপরিষদ ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা'র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কানঞ্চ জয় তংচগ্যা, বম সোসাইল কমিটি সভাপতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা লিয়াঁজু কমিটির সদস্য লাল জার বম, সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনুসহ কমিটির ১৩ জন সদস্যরা।

ক্য শৈ হ্লা বলেন, সশস্ত্র সংগঠনকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ৯ জুন স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফএর মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয়পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। একই বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দু-দফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফয়ের সকল প্রকার সশস্ত্র

কার্যক্রম হতে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ বিষয়টির ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদা বাজি চালিয়ে যায় ।

সভাপতি ক্য শৈ হ্লা জানান, সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সকল ধরনের প্রচেষ্টা পদানত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে বলেন শান্তি কমিটির সভাপতি। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সকল ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি তার বক্তব্য জানান। তাই আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বক্তব্যে জানানো হয়। শান্তি কমিটি জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির জোর দাবি জানাই।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :