ট্রেনের ছাদে চড়ে বসলো সাপ, আতঙ্কিত যাত্রীদের শ্বাসরুদ্ধকর কয়েক ঘণ্টা

দেশ জুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক। ইতোমধ্যে সাপটির বিস্তার ঘটেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় বেশি দেখা মিলছে সাপটির।
রাসেলস ভাইপার আতঙ্কের মধ্যেই যাত্রীবাহী ট্রেনের ছাদে চড়ে বসলো একটি সাপ। এতে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা পার করতে হয়েছে যাত্রীদের। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এমনকি শেষ পর্যন্ত সাপটিকে উদ্ধার করা যায়নি।
বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে সাপটিকে প্রথম দেখা যায়।
এসময় সাটিকে মাথা উঁচু করে চলন্ত ট্রেনে দোল খেতে দেখেন যাত্রীরা। বিষয়টি ট্রেনের এক স্টাফ ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর পার হওয়ার পর ট্রেনের ছাদে সাপটিকে দোল খেতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার দিকে ট্রেনের ছাদে সাপটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে রাসেলস ভাইপার ভেবে পুরো ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ের লোকজন সাপটি উদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করে। তবে ট্রেনটি চলন্ত থাকায় সাপটি সেই মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ট্রেনটি পঞ্চগড়ে পৌঁছার পর রেলওয়ের কর্মচারীরা সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু পুরো ট্রেন তল্লাশি করেও সাপটি তারা খুঁজে পাননি।
ট্রেনের পাওয়ার কার ড্রাইভার শাহিনুর ইসলাম বলেন, সাপটি পাওয়ার কারের ইঞ্জিনের বগির উপর ছিল। যেই বগির উপর দেখা গিয়েছে সেই বগি আমাদের সান্তাহার ডগেই ছিল। কিন্তু আমরা রাতে কোনো কিছু দেখতে পাইনি। দিনাজপুর পার হওয়ার পর সাধারণ যাত্রীদের একজন সাপটিকে দেখতে পায়। পরে আমাদের একজন স্টাফ ভিডিও করে। বিষয়টি আমরা পীরগঞ্জ স্টেশনে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে পঞ্চগড়ে পৌঁছার পর, সেখানেও পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি দুই বগির মাঝখানে যে রাবার থাকে ওই রাবার থেকে বের হতে পারে। ওই রাবারের মধ্যে আবার পাতাও ছিল। ওই বগিটি সৈয়দপুর থেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যখন বগিতে পানি দেওয়া হয়, তখন কেউ সাপ দেখতে পায়নি। তবে ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছা পর্যন্ত ট্রেনের সকল যাত্রীরা আতঙ্কিত ছিল। আমরা আরও বেশি আতঙ্কিত ছিলাম, কারণ আমাদের পাওয়ার কারের উপরেই ছিল সাপটি। তিনি বলেন, রাসেল ভাইপার না হলেও সাপটি বিষধর ছিল বলে ধারণা করছি।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/পিএস)

মন্তব্য করুন