গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে যাদু মিয়া ছিলেন আপসহীন: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দক্ষিণ হস্ত হিসেবে যাদু মিয়ার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন।”
সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আগামীকাল মঙ্গলবার সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০০তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয়তাবাদী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মহান নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার শততম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর পরবর্তী পরিস্থিতিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে গণতন্ত্রকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।”
১৯৭৬ সালে ভারতের পানি আগ্রাসন ও ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সমন্বয়ে প্রথমে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও পরবর্তীতে বিএনপি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুর পর ন্যাপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। মশিউর রহমান যাদু মিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবেও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মতো মেধাবী ও সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা জাতি উপলব্ধি করছে।”
মির্জা ফখরুল যাদু মিয়ার ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
(ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/জেবি/এফএ)

মন্তব্য করুন