অনন্ত আম্বানির হাতের বিরল ঘড়ির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে

সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সময় দেখার একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের নাম ঘড়ি। অনেক ঘড়িপ্রেমী সৌখিন মানুষ আছে যাদের শখই দামি দামি দুর্লভ ঘড়িগুলো হাতে দেওয়া। পৃথিবীতে এমন মানুষেরই দেখা মিলল যার শখ আর দামি দামি দুর্লভ ঘড়ি সংগ্রহ করা। নতুনভাবে বিরল ঘড়িপ্রেমী সৌখিন মানুষের তালিকায় উঠে এসেছেন মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির নাম। ভারতের বিজনেস টাইকুন এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি বরাবরই ঘড়ির প্রতি বিশেষ দুর্বল। তার দুর্লভ ঘড়ির সংগ্রহও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্যাটেক ফিলিপ থেকে শুরু করে রিচার্ড মিলের কালকেশন, সবই আছে তাঁর ঝুলিতে। এই ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি রিচার্ড মিলের একটি আকর্ষণীয় পণ্য বেছে নিয়েছিলেন, যা হল তাঁদের আরএম ৫২-০৫। এটিও ফ্যারেল উইলিয়ামসের নাম বহনকারী প্রথম ঘড়ি।
ঘড়িটির বিস্তারিত বিবরণ প্রথম শেয়ার করে ইনস্টাগ্রাম পেজ 'দ্য ইন্ডিয়ান হরোলজি'। অনন্তের পরনে ছিল সাবেকী সাজ এবং হাতে ছিল ব্র্যান্ড রিচার্ড মিলের (আরএম ৫২-০৫ ট্যুরবিলন ফারেল উইলিয়ামস) বিরল ঘড়িটি। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত দামি ঘড়ি প্রস্তুত করে।
তবে অনন্ত আম্বানির হাতঘড়িটি রিচার্ড মিলের অন্যান্য মডেলের ঘড়িগুলোর থেকেও দামি। কারণ তার হাতে এই আরএম ৫২-০৫ মডেলের মাত্র ৩০টি ঘড়ি প্রস্তুত করেছে রিচার্ড মিলে। এক একটি ঘড়ির দাম ১০ লাখ ৫০ হাজার ডলার; অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১২ কোটি ৫৩ লাখ রুপি এবং বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
রিচার্ড মিলের ওয়েবসাইটে এই ঘড়ি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আরএম ৫২-০৫ মডেলের প্রতিটি ঘড়ি গ্রেড ৫ টাইটেনিয়ামে তৈরি। এই ঘড়িটি সম্পূর্ণ জৈব সামঞ্জস্যপূর্ণ, উচ্চমাত্রায় ক্ষয়রোধী এবং ব্যাপকভাবে টেকসই। এই ঘড়ি চলেও খুব নিখুঁতভাবে। গ্রেড ৫ টাইটেনিয়ামে ৯০ শতাংশ টাইটেনিয়াম, ৬ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম এবং ৪ শতাংশ ভ্যানাডিয়াম থাকে। এছাড়া ঘড়িটির সৌন্দর্য্য বাড়াতে সেখানে নীলকান্ত মণির টুকরোও ব্যবহার করা হয়েছে।’
'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সুরকার-র্যাপার ফ্যারেল উইলিয়ামস এই ঘড়িটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। এই মুহূর্তে আরএম ৫২-০৫ মডেলের এই ঘড়িগুলো কেবল সুইজারল্যান্ড নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও মর্যাদাপূর্ণ ঘড়িগুলোর মধ্যে একটি।’
উল্লেখ্য, ১২ জুলাই ‘বিয়ে’, ১৩ জুলাই 'আশীর্বাদ' এবং ১৪ জুলাই 'মঙ্গল উৎসব'-এর মধ্যে দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে আলোচিত অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের পর্ব। বিয়েতে মোট খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও তা আম্বানির পরিবারের মোট সম্পত্তির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। বিশাল এই টাকা ব্যয় হচ্ছে নামি-দামি শিল্পীদের বুকিং খরচ, জেট বিমান ভাড়া, সুবিধাবঞ্চিতদের ভোজ আয়োজনসহ অন্যান্য খাতে। বিদেশি অতিথিদের যাতায়াতে ভাড়া করা ৩টি ফ্যালকন-২০০০ মডেলের জেট বিমানেই খরচ প্রায় ৮ কোটি টাকা। এছাড়া, আরও ১০০টি ব্যক্তিগত বিমান ভাড়ায় খরচ আরও কয়েক কোটি টাকা।
(ঢাকাটাইমস/১৪ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন