সরকারি চাকরিতে কোটা-সংস্কার সময়েরই দাবি
শিক্ষার্থীদের কোটা-সংস্কার আন্দোলনে গত মঙ্গলবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে এই আন্দোলনটি দমাতে সরকার কোনমাত্রার দমনপীড়নের কৌশল গ্রহণ করেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এই কোটা-সংস্কার আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীকেন্দ্রিক আন্দোলনের চৌহদ্দি পার হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই আন্দোলন দেশজুড়ে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে এবং কতটা শিক্ষার্থীদের চিত্তবিক্ষোভে পরিণত হয়েছে তা আঁচ করা যায় পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ছয় জনের মধ্যে চারজনই ঢাকার বাইরে নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে। কোটা-সংস্কার আন্দোলনের বিস্ফোরোণ্মুখ লেলিহান শিখা ক্রমাগত বিস্ফোরিত হওয়ার দৃশ্যমান বাস্তবতা দেখে এটা অনুধাবন করতে মোটেও কষ্ট হয় না যে- এই আন্দোলন কোনোভাবেই দমানোর মতো নয়।
আন্দোলনের ব্যাপকতা দেখে সরকার শুধু বিজিবিই পথে নামায়নি, দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-স্কুল বন্ধ ঘোষণাও করেছে এবং সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসগুলোও খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। বলা হচ্ছে- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর পরের দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে সাড়া দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বাইরেও বিক্ষোভ দমনে পুলিশ তো আছেই; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনী; তারা লাঠিসোঁটা, কোথাও কোথাও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নারকীয় হামলার যে দৃশ্য অবলোকন করেছে দেশের মানুষ তাতে সকলেই রীতিমতো আঁতকে ওঠেছে। নারী শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত যেভাবে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত করছে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর কর্মীরা তাতে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার এক পর্যায়ে কোনো কোনো দমনকারীকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করতেও দেখা গেছে। সরকার ও পুলিশ বাহিনীর মদদে প্রকাশ্যে এমন অস্ত্রের মহড়া সবাইকে রীতিমতো হতবাক্ করে দিয়েছে।
কোটা-সংস্কারের মতো একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও সরকারঘনিষ্ট ছাত্র সংগঠনটির এরকম পৈশাচিক হামলা কোনোভাবেই কি মেনে নেওয়া যায়? গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ছাড়া পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এদিন। গত সোমবারের ছাত্রলীগের হামলা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। সেখানে আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল, সেখানে গিয়েও তারা দ্বিতীয়বারের মতো হামলার শিকার হয়েছে। এরকম একটি সহিংসতাপূর্ণ হামলার কারণে তখন হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি কতটা হতবিহ্বল হয়ে ওঠতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
বলার অপেক্ষা রাখে না- দেশের বেশির ভাগ মানুষ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি- কোটা-সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে ছাত্রলীগও এর পক্ষে মত দিয়েছিল। পরে সরকারের বক্তব্যের প্রতিধ্বনিই দেখতে পাওয়া গেছে তাদের আচরণে। তবে গত সোমবার ও মঙ্গলবার তাদের আচরণ এমন নারকীয় হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
স্মর্তব্য, গত ১৪ই জুলাই রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চীন সফর বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ এ ধরনের স্লোগান দেয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনেকটা সক্রেটিক আয়রনির মতো ছিল। অর্থাৎ প্রাধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যেমন বলেছিলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না।’ এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আয়রনির মতো করে অর্থাৎ বিপরীতধর্মী শ্লেষপূর্ণ বক্তব্যের আদলে নিজেদের রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে এই স্লোগানগুলো দিয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান মোটেও নিজেদের ‘রাজাকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেয়নি। বরং তাদের বক্তব্যকে আরো জোরালোভাবে প্রকাশ করতেই তারা এই শ্লেষপূর্ণ বিপরীতধর্মী স্লোগানগুলো দিয়েছে। এতে তো দোষের কিছু দেখি না।অবাক হওয়ার ব্যাপার এই যে- ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা এই শ্লেষপূর্ণ বক্তব্যের সারমর্ম অনুধাবন করেও তারা উলটো রথের ঘোড়সওয়ার হতে দারুণভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ক্ষমতাসীনরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে তৈরি করার জন্য যে মোক্ষম অস্ত্রটি ব্যবহার করে তাদের কাবু করতে সচেষ্ট হচ্ছে তা দেশের একজন নাবালক শিশুও বুঝতে পারছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের ‘রাজাকার’ পরিচয়ের বিপরীতে এই সত্যই প্রকাশ করতে চেয়েছে যে- সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের কোটাভিত্তিক চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রকৃত মেধাবীদের কোনোভাবেই বঞ্চিত করতে পারে না। এটা এক বিরাট বৈষম্য।
শিক্ষার্থীদের চলমান এই আন্দোলন কোনোভাবেই কোটাবিরোধী নয়- মূলতই কোটা-সংস্কারের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কখনোই বলছে না যে- নারী কোটা, জেলা কোটা, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী কোটা কিংবা প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়া হোক। তারা বলছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের জন্য যে ৩০% কোটা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে, এটাকে কমানো হোক। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা এবং তাঁদের সন্তান-সন্তুতি পর্যন্ত সরকারের দেওয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন কিংবা এখনো পেয়ে আসছেন- এটা নিয়ে তো কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ তাঁর নাতি-নাতনির জন্যও ঠিক একই রকম সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে কেন- এখানেই এসে কোটা-সংস্কারের বিষয়টি সামনে আসে। আর দেশের কোনো মুক্তিযোদ্ধাই তো এই দাবি করেনি যে, তাদের নাতিপুতিদেরও সরকারি কোটায় চাকরি দিতে হবে। বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন বলছেন- আমরা আমাদের নাতিপুতিদের এই কোটা পদ্ধতির সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।
প্রশ্ন ওঠেছে ৫৬% সরকারি চাকরিই যদি কোটা দ্বারা পূরণ করা হয় তাহলে দেশের অগণিত মেধাবীদের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তারা সারাজীবন কষ্ট স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে যদি অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীর নিকট এসে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় তাহলে তাদের মধ্যে এই ক্ষোভ তৈরি হওয়াই কি স্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রথম শ্রেণির একটি সরকারি চাকরিকে ধরা হয় সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হিসেবে। সরকারি এই মহার্ঘ্যরে বিপরীতে একজন শিক্ষার্থী জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করে সেই যোগ্যতাও হয়তো অর্জন করলো কিন্তু বাঁধ সাধে যদি কোটা পদ্ধতি তাহলে তার সারা জীবনের সমস্ত কষ্ট স্বীকারের আর কী দাম রইলো। এই সবকিছু মিলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল তারই বিস্ফোরণ এই কোটা-সংস্কার আন্দোলন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে- সরকার পরোক্ষভাবে যেমন করে এই আন্দোলন ব্যর্থ করে দেবার চেষ্টা করছে তাতে সরকারের এই কাজের ফল আরো বিপরীত হতে বাধ্য। পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা সরকার আন্দোলনকারীদের ওপর যে প্রক্রিয়ায় নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে তাতে সরকার-পক্ষীয় বুদ্ধিজীবী অর্থাৎ খাস আওয়ামী লীগের লোকরাও বিষয়টিকে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বিষয় হিসেবে প্রতিপন্ন করছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- কোটা-সংস্কারের আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত উস্কানি দিচ্ছে কিংবা বলা হচ্ছে- এই আন্দোলনের কলকাঠি নাড়া হচ্ছে লন্ডন থেকে। এসবই বানোয়াট কথা। দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বঞ্চিত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ই জুলাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত শিক্ষার্থীদের রাজাকার পরিচয়-সংশ্লিষ্ট স্লোগান আমাদের জাতীয় মৌলিক চেতনার সঙ্গে ধৃষ্টতার শামিল।’ তিনি এও বলেছেন, ‘কোটাবিরোধী কতিপয় নেতা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, এর জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কোটা-সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া এই বক্তব্যের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের নৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কোনো সামঞ্জস্য নেই। আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় মৌলিক চেতনার বিপরীতধর্মী কোনো স্লোগান যদি আন্দোলনকারীরা দিয়েও থাকে তাহলে সেটা আদালতে বিচার্য বিষয় হতে পারে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে যে কারো জন্যই কি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ঊর্ধ্বে ওঠা কাম্য নয়?
এটা সকলেই জানে যে- কোটা বাতিল নিয়ে মামলা হওয়ায় বিষয়টি এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। কিন্তু এতদ্বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন রাষ্ট্রের নির্বাহী উদ্যোগে শুরুতেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল। কারণ, আমাদের সংবিধান অনুযায়ীই এটা বলা যায় যে- কোটা রাখা বা না রাখা এবং রাখলে কতটুকু রাখা হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বজায় থাকবে, সেটা সরকারের একক সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে চলমান এই কোটাপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন দরকার, সেটা দলমত নির্বিশেষে প্রায় সকল মহলই একমত। সংগত কারণেই এই সমস্যাকে কেন তাহলে এতদিন ধরে জিইয়ে রাখা হচ্ছে?
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জেলা কোটা, প্রতিবন্ধী কিংবা পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কোটা নিয়ে কোনো পক্ষেরই বিতর্ক নেই। মূল বিতর্ক হলো মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটা নিয়ে। সকলেরই প্রশ্ন মেধাবীদের বঞ্চিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের আর কত প্রজন্ম ধরে এই সুবিধা দেওয়া অব্যাহত থাকবে। দেখা যায়- একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার যদি চারজন সন্তান থাকেন, তবে সেই চারজনের ঘরে এখন অন্তত আটজন নাতি-নাতনির যদি জন্ম হয়, তাহলে তাদের প্রত্যেককে তাদের পূর্বের দুই প্রজন্মের মতো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সুবিধাদি দেওয়া হলে অন্যরা যাবে কোথায়?
সরকারের এই মুহূর্তে দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করার কোনো বিকল্প নেই। এরই মধ্যে কোটা-সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সরকার কর্তৃক দমনপীড়নের ফলে জনমত অনেকটাই বিপরীত দিকে চলে গেছে। এই মুহূর্তে সরকার দমনপীড়নের পথ থেকে সরে এসে কোটা-সংস্কার আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে যদি কোটার মাত্রাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে না আনে তাহলে সেটা হবে সময়ের বিপরীত স্রোতে দৌড়ানো।আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী
মন্তব্য করুন