সংখ্যালঘু ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র হাসনাত আব্দুল্লাহ। এজন্য তিনি আন্দোলনকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে পৃথক বার্তায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রীয় কায়দায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তার দায়ভার ছাত্র-জনতার ওপর চাপানো হতে পারে। সংখ্যালঘু নির্যাতন নাটকের ফাঁদ থেকে বিরত থাকুন।’
ভিডিও বার্তায় এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের পরিচয় কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ নয়, আমাদের পরিচয় হচ্ছে মানুষ। আমাদের আর দুটি পরিচয় নির্যাতক এবং নির্যাতিত। আমাদের আন্দোলন নির্যাতকদের বিরুদ্ধে। আমাদের আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে।’
এছাড়া আরেক বার্তায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করতে আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পৃথক ভিডিও বার্তায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আন্দোলনের শুরু থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। আন্দোলনকে সার্বজনীন করতে তাদের নিরবচ্ছিন্ন পেশাদারত্বের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, কিছু অতিউৎসাহী আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারী পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সম্প্রচার ও পেশাদারত্বকে বিঘ্নিত করেছে, তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। এই ঘটনার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিন্দা জানাচ্ছে।’
হাসনাত বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আন্দোলনের এক দফা বাস্তবায়ন করতে গণমাধ্যমের সঠিক ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা ও পেশাদারত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের আন্দোলনের অগ্রগতি নিশ্চিত করবে। আমরা আহ্বান করছি, সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সহযোগিতা বজায় থাকবে।’
এদিকে যারা লংমার্চে আসতে পারবেন না তাদেরকে স্থানীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে রক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন।
সন্ধ্যা সাতটায় এক বার্তায় অয়ন বলেন, ‘যারা ঢাকায় আসতে পারবেন না, তারা বিভিন্ন জেলায় আমাদের হিন্দু এবং সংখ্যালঘু ভাইবোনদেরকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। আমাদের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা এবং পরিকল্পনা চলছে। এত রক্ত ঝরার পর এই আন্দোলনকে কোনোভাবেই থামতে দেওয়া যাবে না। আর চলে আসুন ঢাকায়, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে, বিজয় সুনিশ্চিত।।
(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/জেবি/এসআইএস)