মাদারীপুরে শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবনে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও মাদাীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিমের বাসভবন, তাদের মালিকানাধীন অন্তত ১০টি স্থাপনা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পরেই মাদারীপুর জেলা শহরে আনন্দ মিছিল করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। পরে বিকাল ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা একযোগ শাজাহান খানের ১০ তলা বাসভবন ভাঙচুর করে। তখন বাসভবনের পাশে থাকা তার মালিকানাধীন সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, সার্বিক ফুড ভিলেজ, শাজাহান খান সমর্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সার্বিক পরিবহনের কাউন্টারসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় শাজাহান খানের বাসভবনের ঠিক পাশেই মাদারীপুর সদর থানা অবস্থিত হলেও এ সময় কোন পুলিশকে দেখা যায়নি ঘটনাস্থলে। পরে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিমের বাসভবন ও তার পারিবারিক মালিকানাধীন মাতৃভূমি হোটেল ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
সরেজমিন ঘুরে আরো দেখা যায়, বিক্ষুদ্ধ জনতা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে হাতে লাঠি সোটা নিয়ে শাজাহান খানের ১০ তলা বাসভবন ভাঙচুর করেছে। এ সময় তারা ব্যাপক পরিমাণ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভবনের গ্লাস ভাঙচুর করে। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী মহিলা এবং পুরুষ একযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তার বাসভবনের সামনে। খুব অল্প দূরত্বে মাদারীপুর সদর থানা থাকলেও এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাউকেই দেখা যায়নি।
তখন মাদারীপুর সরকারি কলেজে অবস্থান করা কয়েকজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিতে দেখা গিয়েছে। তবে এসময় ভিডিও করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা সাংবাদিকদের উপরেও চড়াও হয়। পরে বিক্ষুব্ধরা জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ফারজানা নাজনীনের বাসভবন ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল বেপারীর মালিকানাধীন মোটরসাইকেল শো-রুমে আগুন দেয়। এক যুবলীগ নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং পুরাতন কোর্ট মোড়ে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরটিও ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। অনেক বিক্ষোভকারীকে সিলিং ফ্যান, কম্পিউটারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এসময় শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(ঢাকা টাইমস/০৬আগস্ট/এসএ)
মন্তব্য করুন