স্বেচ্ছায় অবসরে গেলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৪৮ | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:২৮

পুলিশের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন খুলনা-বরিশাল বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান টুকু।

রবিবার স্বেচ্ছায় অবসরের জন্য স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন করেছেন।

আবেদনপত্রে তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ তার কিতাবের সর্বশেষ পরিপূর্ণ সংস্করণ আল কোরআনের জ্ঞান ও ন্যায়-অন্যায় প্রজ্ঞা দান করায় আমি বুঝতে পারছি যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে আর চাকুরী করা আমার জন্য সমীচীন নয়। এ কারণে অদ্য ১১/০৮/২০২৪ খ্রি. তারিখে আমি পুলিশে আমার পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম।’

মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘গত ০৫ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবার আগের কয়েকদিন ও বিগত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষার নামে নিজেদের ক্ষমতা ও অবৈধ অর্থ উপার্জনের পথকে দীর্ঘায়িত করার মানসে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হিংস্র ও বর্বর আদেশে শিশু-কিশোর সহ বহু মানুষকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা হত্যা করেছে যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বর্তমানে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলার মানষের ঘৃণার পাত্র হিসাবে আমি পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী করতে ইচ্ছুক নই বিধায় আমি চাকুরী হতে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলাম।’

অতএব আমার এ পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করতঃ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আপনার সদয় মর্জি কামনা করছি।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শৈলকুপা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মারা গেলে পুলিশের এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নিজের ভাইয়ের জন্য পুলিশের পোশাক পরে মনোনয়ন তুলতে যান। যা সেসময় বেশ সমালোচিত হয়। পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে তিনি সরকারের কড়া সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সরকারকে নিষ্ঠুরতম স্বৈরাচার আখ্যা দেন মুনিরুজ্জামান টুকু।

সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার নানা তথ্য তুলে ধরে গত ৩ আগস্ট টুকু তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরে, বিবেকের তাড়নায় ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। ... এ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য হিসেবে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে, লজ্জিত অপমানিত বোধ করছি। কী বিচিত্র অমানবিক বিবেকহীনদের দেশে আমরা বসবাস করি!’

সার্বিক ঘটনায় তিনি সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, ‘...পুলিশের শত শত যান, পুলিশ স্থাপনাসমূহ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিচ্ছে, পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখছে, হাটে-বাজারে, পথেঘাটে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করছে! ঘরে-বাইরে সর্বত্র পুলিশ আজ ঘৃণার পাত্র!’

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এলএম/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :