জামালপুর পাসপোর্ট অফিসে শিক্ষার্থীদের অভিযান, তিন দালাল আটক

জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। এ সময় তিন দালালকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছেন তারা।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শহরের বিজয় চত্ত্বরের পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলার পর এ সকর্তবার্তা দেন তারা।
পরে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে আটক করা তিন দালালকে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্নীতির বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ পেয়েছেন দাবি করলেও তা অস্বীকার করছেন পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দেব।
নিশান মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘদিন থেকেই সেবা নিতে আসা লোকজনের অভিযোগ, তাদেরকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একাধিক দালালচক্র। এর সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
অভিযোগ রয়েছে, বাইরে থেকে দালালরা পাসপোর্ট অফিস নিয়ন্ত্রণ করে। কাগজে বিশেষ চিহ্ন বা সংকেত দিয়ে দালালচক্রের সদস্যরা কাগজ পাঠিয়ে দেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে। এতেই আবেদনকারীরা দ্রুত ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি তোলা ও পাসপোর্ট পান। এজন্য দালালদের পাসপোর্ট প্রতি অতিরিক্ত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়। আর দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে গেলেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে দাঁড়াতে হয় লম্বা লাইনে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
শিক্ষার্থীরা জানান, পাসপোর্ট অফিসে কোনো সাহায্য কেন্দ্র নেই। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দেব বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না।
জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা এসে আমাকে বলে গেছে। অফিসের কর্মচারীরা নাকি টাকা-পয়সা নেয়। আমি বলেছি সবকিছু দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন