প্রতিদিন মাছ খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে

ফিচার ও স্বাস্থ্য, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪০
অ- অ+

মাছ খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যেও একটি। এতে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ে খুব বেশি ভালো খাবারও স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।

বিশেষ করে যারা প্রতিদিন পাতে মাছ রাখেন, তাদের কিছু সমস্যা হতে পারে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন মাছ খেলে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

অত্যাধিক লবণ

মাছে সোডিয়াম বেশি থাকতে পারে, যা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। সোডিয়াম বেশি থাকলে পেট ফুলে যেতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। এই ঝুঁকি কমাতে সোডিয়াম কম এমন মাছ খান। রান্নাতেও কম লবণ দিন। মাঝে মধ্যে ব্লাডপ্রেশার মাপুন। সেটিও ঠিক আছে কি না, দেখে নিন।

পারদের মাত্রা বেড়ে যায়

অনেক ধরনের মাছে উচ্চ মাত্রার পারদ থাকে। এটি বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পারদ অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতি করে। ফলে খাবার ঠিক করে হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই উচ্চ মাত্রার পারদযুক্ত মাছ খাবেন না। দরকারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ফাইবার খুব কম

মাছে খুব বেশি ফাইবার থাকে না। এর ফলে পেটে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতাও হতে পারে। তাই মাছ বেশি খেলে তার সঙ্গে শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্যের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে।

অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট

কিছু মাছে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এগুলো অন্ত্রে প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন মাছ খান, যাতে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম।

প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক

ভেরিতে চাষ করা মাছে প্রায়ই প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। এগুলো পেটে গিয়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই ভেরিতে চাষ করা মাছ সম্পর্কে সাবধান থাকুন।

দূষিত পদার্থে ভর্তি

বহু ক্ষেত্রে মাছ দূষিত পানির মাধ্যমে বিভিন্ন ধাতু, কীটনাশক এবং মাইক্রোপ্লাস্টিকের মতো দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে আসে। এগুলো অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে হজমের সমস্যা হয়। যেমন পেটফোলা ভাব, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি। এই কারণে বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকে মাছ কেনা উচিত এবং সেগুলো ভালো ভাবে ধুয়ে রান্না করা উচিত।

অ্যালার্জির সমস্যা

অনেকের বিভিন্ন মাছে অ্যালার্জি হয়। সেসব মাছ খেলে কারও কারও খিঁচুনি, ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এ কারণে কোনো মাছ খাওয়ার পরে অ্যালার্জি বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা