ঢামেকে সেনাবাহিনীর পাহারায় চলছে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধর এবং জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল রবিবার চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সেনাবাহিনীর পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বেড়েছে রোগী ও রোগীর স্বজনদের আনাগোনা। প্রতিদিনের মতো রোগীরা আসছেন চিকিৎসা নিতে। ভিড় বেড়েছে টিকিট কাউন্টারেও।
এ সময় জরুরি বিভাগের সামনে একটি এপিসি কারসহ সেনা সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এছাড়া জরুরি বিভাগের গেটের ভেতরে বিজিবি সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
রবিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতিতে ছিলেন চিকিৎসকরা। বন্ধ ছিল সকল ধরনের রোগের চিকিৎসাসেবা। পরে শর্তসাপেক্ষে রবিবার রাত থেকে জরুরি সেবা দেওয়ার ঘোষণা দেন ঢামেকের আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে জরুরি সেবা দেওয়া হবে। যদি আমাদের যতজন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবে ততজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকতে হবে।
চিকিৎসকরা আরও জানান, আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলমান আছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা সময়ের মাঝে প্রতিটি জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তা দেওয়ার সাপেক্ষে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগের সেবা দেওয়া হবে।
এর বাইরে সারাদেশে আউটডোর সেবা ইনডোর সেবা স্থগিত থাকবে। তবে আইসিইউ এইচডিউ সেবা চলমান আছে বলেও জানান তারা।
এর আগে গত শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
ওইদিন মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।
নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দোষীদের শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।
(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/এমআই/এমআর)