গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মী আহত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি ও জামায়াতের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।
তিনি জানান, আহতদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানকে (২৬)আটক করা হয়েছে। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
আহতদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ পৌর জাসাসের আহ্বায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল (৪০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া (৪৫) এবং পৌর যুব জামায়াতের বাইতুল মালের দায়িত্বে থাকা ফুল মিয়া (৩৫) রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌমাথা মোড়ে জামায়াতকর্মী ফুল মিয়ার দোকানে ব্ল্যাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফ হাসানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে মারুফ ফোন করে বন্ধুসহ দলবল নিয়ে ধারালো ছুরি হাতে ফুল মিয়াকে আক্রমণ করতে যান।
এ সময় পাশে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়। মারুফের এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে অন্তত ৬ জন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের হাত, আঙুল, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আশরাফুল আলম রাজু, জামায়াতের সাবেক আমির নূরনবী প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল কবির মনু ও সদস্যসচিব আবু জাফর লেলিনসহ দলীয় নেতারা।
পরে হামলার প্রতিবাদে ও আহতদের সমর্থনে জামায়াত ও জাসাস নেতাকর্মীরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন