মির্জাপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন আটকে অবরোধ

মির্জাপুর স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে রেল-সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। শনিবার বিকেলে মির্জাপুর রেলস্টেশনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। ট্রেন থামতে তারা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
মানববন্ধন ও অবরোধ চলাকালে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমন সিদ্দিকী, জুবায়েদ ইসলাম নিঝুম ও জাকির সিকদার।
জানা যায়, ২০২০ সালে চিত্রা এক্সপ্রেস এবং কয়েক মাস আগে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুরে যাত্রাবিরতি বন্ধ ও টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চালু হলেও চিত্রার যাত্রাবিরতি ও টাঙ্গাইল কমিউটার এখনো চালু হয়নি।
টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন চালু, চিত্রা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি পুনর্বহাল এবং একতা, দ্রুতযান, পদ্মা ও লালমণি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু রেল সংযোগ সড়কের মির্জাপুর স্টেশনে মানববন্ধন ও রেললাইন অবরোধ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধা সোয়া ৫টা পর্যন্ত মানববন্ধন চলাকালে তারা খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে মির্জাপুর স্টেশনের পৌঁছালে ট্রেনটি থামিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেন তারা।
মানববন্ধন চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন মির্জাপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান ও স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান। তারা আন্দোলকারীদের দাবির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সন্ধা ৫টা ১৫ মিনিটে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশি বিভাগের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদের সাথে কথা হলে তিনি আন্দোলনকারীদের দাবি লিখিতভাবে রেলওয়ে বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাতে পরামর্শ দেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/মোআ)

মন্তব্য করুন