সৌদি আরবে বাথরুমের বায়োগ্যাসের বিষক্রিয়ায় ভৈরবের যুবক নিহত

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫৫| আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৫৬
অ- অ+

বাথরুমের বায়োগ্যাসের বিষক্রিয়ায় সৌদি আরবে ভৈরবের রাসেল মিয়া (৩২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। তিনি উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের কুমিরমারা এলাকার মোস্তু মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদ ইশারা খালেদিয়া শহরের একটি ছাপাখানা ফ্যাক্টরিতে ঘটনা ঘটে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চার ভাই দুই বোনের তৃতীয় রাসেল। বছর আগে জীবিকার তাগিদে পাড়ি দেন মরুর দেশ সৌদি আরবে। দুই বছর আগে প্রবাসে থাকাকালীন মুঠোফোনে বিয়ে করেন একই এলাকার বাসিন্দা আনিকা বেগমকে। বছর থানেক আগে দেশে আসেন রাসেল। স্ত্রী আনিকাকে মাসের গর্ভবতী রেখে মাস আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। মাস আগে তাবাচ্ছুম নামের একটি কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পরিবারের সাথে শেষ কথা হয় তার। ওই দিন রাতেই প্রবাসে থাকা অন্য ভাইদের কাছ থেকে খবর আসে বাথরুমের বায়োগ্যাসের বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন রাসেল। রাসেলরা চার ভাই সৌদি প্রবাসী।

সৌদি প্রবাসী ফায়েজ উদ্দিন বলেন, ‘রাসেল আমার থেকে খানিকটা দুরে একটি ছাপাখানা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। যতটুকু জানতে পেরেছি ফ্যাক্টরির ভবনের চতুর্থ তলায় বাথরুম পরিষ্কারের জন্য কোল্ডডেক্স কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। রাসেল দ্বিতীয় তলায় বাথরুমে গেলে কেমিক্যাল গ্যাস বাথরুমে ছড়িয়ে পড়ে। বায়োগ্যাস বিষক্রিয়া তৈরি হলে রাসেল প্রথমে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ফ্যাক্টরির ম্যানেজার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’

রাসেলের বাবা মোস্তু মিয়া বলেন, ‘রাসেল আমার তৃতীয় সন্তান। সোমবার সন্ধ্যায় আমি শেষকথা বলি ছেলের সাথে। আমাদের সাথে কথা বলে বাথরুমে যায় রাসেল। বাথরুমের গ্যাসে বিষক্রিয়া হয়ে আমার ছেলে মারা গেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মারা গেছে। সৌদি আরবে নাকি বাথরুম পরিষ্কারে কেমিক্যাল দিয়ে পরিচ্ছন্ন করার আগে সবাইকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু আমার ছেলেসহ কাউকেই ওই দিন সতর্ক করেনি পরিচ্ছন্নকর্মীরা ।’ ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিটন মিয়া বলেন, ‘একজন সাংগঠনিক ভালো ছেলে ছিল রাসেল। তার মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের কথা চিন্তা করে আমাদের গ্রামের সন্তানরা বিদেশে পাড়ি জমায়। একটি দুর্ঘটনায় পরিবার আজ সন্তানহারা। শিশু সন্তানটি হয়েছে পিতৃহারা। আল্লাহ পরিবারটির শোক সইবার তৌফিক দান করুন।’

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ইশরাককে  শপথ পড়ানো সম্ভব নয়, যদি...
কুষ্টিয়ায় ট্রাক্টর চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
জাতীয় নির্বাচনে কি ভূমিকা নেবে বুঝিয়ে দিল সরকার: ইশরাক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা