আলফাডাঙ্গায় এই প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৬
অ- অ+

কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগের অংশ হচ্ছে সমলয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কৃষকেরা মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ধান, একই সময়ে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করতে পারেন। এতে সময় যেমন লাগে কম, তেমন বাঁচেও খরচ।

আধুনিক এই পদ্ধতিতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া গ্রামে চলতি বোরো মৌসুমে ৫০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে শুরু করেছেন ধান চাষের প্রক্রিয়া। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও রাকিবুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এগিয়ে চলেছে তাদের সমলয় যান্ত্রিকীকরণ ধান চাষের এ প্রকল্প।

জানা গেছে, উপজেলার চান্দড়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে প্রাথমিকভাবে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ১৫ একর জমিতে ইতোমধ্যে বীজতলা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। সমলয় যান্ত্রিকীকরণ এ প্রকল্পে সুবিধাভোগী কৃষক রয়েছে ৫০ জন। জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সমলয় যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবেন কৃষক।

আলফাডাঙ্গা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কৃষি যন্ত্রের শতভাগ ব্যবহার নিশ্চিতে উপজেলার ৫০ একর জমি সমলয়ে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এই প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ শুরু হচ্ছে।

সনাতন পদ্ধতিতে ফসল রোপনে সময়ের ভিন্নতা থাকায় যন্ত্রের ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হয়। তবে, সমলয়ে চাষাবাদের ফলে একই সময়ে একইসঙ্গে বিস্তীর্ণ জমিজুড়ে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ ও দ্রুত কর্তন করা সম্ভব।

আলফাডাঙ্গা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আগে সনাতন পদ্ধতিতে মাটিতে ধানের চারা বপন করতে গিয়ে মাটি ভেঙে এবং বীজতলা নষ্ট হয়ে যেত। ফলনও তেমন ভালো হত না। সমলয়ে বীজতলা লাগানোর ফলে ধানের চারা নষ্ট হয় না। বপন করতে সুবিধা হয়। পোকামাকড়ও দমন করা যায়। এখন কানি প্রতি জমির ফসল রোপণ থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত তাদের উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। সেই সাথে কৃষক আধুনিক যান্ত্রিক কৃষিতে অভ্যস্ত হবে।’

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহার নির্দেশনা অনুযায়ী চান্দড়া গ্রামের সমলয় যান্ত্রিকীকরণ কৃষি প্রকল্পে আমি ও মেহেদী হাসান নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি নিজেরা ফিল্ডে থেকে নিজ হাতে বীজতলা তৈরিতে কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমলয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ধান চাষাবাদের আওতায় গোপালপুর ইউনিয়ানের চান্দড়া গ্রামে সমলয় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ৫০ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ একর জমির বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/এমআই)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আইএফআইসি ব্যাংকের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মামুন হাসান
অভিযোগ ভিত্তিহীন, বিসিএস ভাইভার প্রস্তুতি নিতে পদত্যাগ করেছিলাম: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোয়াজ্জেম
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মামুন খালেদ ও স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা