আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, ১২৯ রানেই থামল বাংলাদেশ

ভেন্যু, ফরম্যাট কিংবা প্রতিপক্ষ বদলালেও বদলায় না বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প। প্রত্যেত ম্যাচেই একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশ তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতা ধরে রেখেছে। যার ফলে মাত্র ১২৯ রানেই থেমেছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কিংসটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। টাইগার ব্যাটাররা যেনো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কার আগে কে সাজঘরে ফিরে যাবেন। যার ফলে মাত্র ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শঙ্কা জাগে দলীয় ১০০ এর আগেই অলআউট হওয়ার। তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর অপরাজিত ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামে বাংলাদেশ।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিজেদের ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস। তবে এতেও লাভ হয়নি। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী লিটন আজও ফিরে গেছেন খালি হাতেই। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে তিনিও আজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন। রোস্টন চেইসের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে মাত্র ২ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ১১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
১১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তারা। তবে নিজেদের জুটিকে খুব বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। দলীয় ৩৯ রানে সৌম্য সরকার ফিরে গেলে ২৮ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। সৌম্যের বিদায়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা।
সৌম্যের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২৬ রান করে আলজারি জোসেফের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
সৌম্য আর মিরাজের পথ ধরে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান রিশাদ হোসেনও। ৪ বলে মাত্র ৫ রান করে গুডাকেশ মোটির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে মাত্র ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
এরপরেই জুটি গড়েন জাকের আলি ও শেখ মেহেদী হাসান। এরপরে বৃষ্টি বাঁধায় বেশ কিছু সময় বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি শেষে খেলা আবারও শুরু হলে তারা ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৭২ রানে শেখ মেহেদী হাসান ফিরে গেলে ২০ রানেই ভাঙে এই জুটি। ১১ বলে মাত্র ১১ রান করে গুডাকেশ মোটির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মেহেদেী।
মেহেদীর পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান জাকের আলিও। ২০ বলে ২১ রান করে ওবেড ম্যাককয়ের বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শঙ্কা জাগে দলীয় ১০০ এর আগেই অলআউট হওয়ার।
তবে এরপরেই তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তার অপরাজিত ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামে বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/১৮ ডিসেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন