তীব্র শীতে রংপুর অঞ্চলের জনজীবন স্থবির

ঘন কুয়াশা, মেঘলা আকাশ আর হিমশীতল বাতাসে তিন দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে জনজীবন স্থবির। কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে চালচলকারী যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে ।
গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। দুই দিনে তা আরও বেশি জেঁকে বসেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ভোর থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই-তিন দিন স্থায়ী হতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় রংপুর অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত দুই দিনে হাসপাতালে দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের বেশির ভাগ শিশু ও বয়োবৃদ্ধ। এছাড়া হাসপাতালে বহির্বিভাগে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জানান, আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এছাড়া শীতের সময়টাতে এমন রোগব্যাধি বাড়ে। আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শীত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছিন্নমূল মানুষে সড়কের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এসব হতদরিদ্র মানুষ গরম কাপড়ের আশায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরে এসে জড়ো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন