কী করবে বিএনপি?

তবে কি সুদিনে ফেরা এখনো লাখ টাকার প্রশ্ন বিএনপির জন্য? দিন যত গড়াচ্ছে ততই প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে কেন? বেশ কয়েকটি ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে বিএনপির আগামী দিনগুলো মসৃণ নাও হতে পারে।
কোনটা আগে বলবো? জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রকাশ্য বাকযুদ্ধ কতটা ভোগাতে পারে বিএনপিকে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বোধহয় ইদানীং সম্পর্কটা মসৃণ নয় বিএনপির।
আবার তারেক রহমানের তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার পরেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির এক শ্রেণীর নেতাকর্মী যেভাবে দখল-চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছেন তাতেও অস্বস্তিতে আছে দলটি।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বিএনপির বিরোধী প্রচারণা কি শুধুই কাকতালীয়? ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের উপস্থিতিকে কি বলবেন? অথবা মাদারীপুরের একটি অনুষ্ঠানে তার একটি উক্তিকে? ‘এখন চারিদিকে জাতীয়তাবাদী সুবিধাবঞ্চিত লীগ— যারা ৫ আগস্টের আগে গর্তে লুকিয়ে ছিল।‘
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অনুমান করছেন, উক্তিটি সরাসরি বিএনপিকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কিন্তু এখন চাওয়া-একই কায়দায় মিলছে না।
রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচী নিয়ে বিএনপি কিন্তু সাবেক জোটসঙ্গীকে একই কাতারে পাচ্ছে না। এভাবেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক নতুন প্রশ্ন। বাড়ছে সন্দেহ, অবিশ্বাস।
জনপ্রশাসনসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে কার প্রভাব আসলে বেশি? জামায়াতে ইসলামী কি এক্ষেত্রে এগিয়ে? না-কি সমান টক্কর দিচ্ছে বিএনপিও। বিভিন্ন মহলে সরকারের ভেতরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের রিলে রেসে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে এ নিয়ে আছে নানা গুঞ্জন।
বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে বিভিন্ন সম্পর্কের জটিল সমীকরণই কি আগামীতে দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ? এই প্রশ্ন কিন্তু বিএনপি নেতাদের অন্দর মহলে কান পাতলেই শোনা যায়।
প্রত্যাশা মতো সহসাই কি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাবে দলটি। প্রার্থিতাসহ পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দ্বে বিএনপির তৃণমূলে যে ফাটল তা আরো চওড়া হয়ে যাবে না তো?
ঢাকা টাইমস কথা বলেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্পাদকমন্ডলির সদস্যের সঙ্গে। বিএনপি নেতারা মানছেন, আগামীর পথচলা তাদের জন্যে মসৃণ হবে না। তবে বিএনপি এই জন্য দৃঢ় আশাবাদী যে, তৃণমূলে বিএনপির শেকড় এখন এতটাই গভীরে যে বিএনপিকে উপেক্ষা করা, দুর্বল করা কার্যত অসম্ভব।
তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে আসন্ন যে রাজনৈতিক দল সেটি বিএনপির জন্য কতখানি থ্রেট হতে পারে সেই ভাবনা এবং সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি কতটা তৎপর? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। কবে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান? অপেক্ষার শেষ কবে? দেখা যাক।
(ঢাকাটাইমস/০৫জানুয়ারি/এআরডি)

মন্তব্য করুন