বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১ শর্ত, ১২টি আমদানিতে কায়িক পরীক্ষা

দেশেরে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউস বাণিজ্য সহজীকরণ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি সঞ্চার, সময় হ্রাসসহ করদাতাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের খালাস ত্বরান্বিতকরণ ও শুল্ককর ফাঁকি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ চলমান। সেই সঙ্গে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে নতুন শর্ত দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরে বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে ১১টি শর্ত দিয়ে এ আদেশ জারি করা হয়। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই আদেশের ফলে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।
নতুন শর্ত অনুযায়ী, ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান অথবা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাকের (যেমন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডারগার্মেন্টস) চালান কায়িক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কায়িক পরীক্ষা বলতে বোঝায়, পণ্যের চালান খুলে দেখে নিশ্চিত করা, ঘোষণাকৃত পণ্যের সঙ্গে চালানে থাকা পণ্যের মিল আছে কিনা।
এতে আরও বলা হয়েছে, ১২ ধরনের আমদানির পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনসামগ্রী, সব ধরনের কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, মোটর পার্টস, টায়ার ও টিউব, বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়া বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/৮জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন