কৌশলে শো-রুম মালিকদের ঠকিয়ে দামি গাড়ি হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০০| আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৬
অ- অ+

গাড়ির শো-রুমে গিয়ে নামিদামি ব্রান্ডের প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাস কেনার নামে কৌশলে তা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। এমন একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিলাসবহুল চারটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব গাড়ির মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।

পাঁচ প্রতারক হলেন— জারাক আহমেদ, আবুল কালাম রিফতিয়ার, জামির হোসেন, সজল আহম্মেদ ও আব্দুর রহমান রুবেল। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিসি ইবনে মিজান জানান, ইমদাদুল হক খান নওশাদ একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। তেজগাঁও আজিজ কোর্ট গ্রাউন্ড ফ্লোরে তার একটি গাড়ির শো-রুম রয়েছে। এবি ড্রাইভ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদ ও চেয়ারম্যান জামির হোসেনকে ২৬ নভেম্বর ও ৪ ডিসেম্বর চারটি গাড়ি ডেলিভারি দেন ভাটারার নর্দ্দা প্রগতি সরণি এলাকায়। গাড়ি চারটির বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গাড়িগুলো ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানায়।

এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। ইমদাদুল হক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তারা গাড়িগুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি ইমদাদুল হক খান জারাক আহমেদ, জামির হোসেনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে গত রাতে গুলশান লিংক রোড এলাকা হতে এবি ড্রাইভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারাক আহমেদকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর থানা এলাকা থেকে জামির হোসেনের সহযোগী আবুল কালাম রিফতিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, জামির হোসেন একটি টয়োটা এসকোয়্যার মাইক্রোবাস গাড়ি এবং একটি টয়োটা এক্সজিও প্রাইভেটকার তার জিম্মায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় রাখতে বলে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগরীর আফতাবনগর এলাকা হতে ওই গাড়ি দুটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আরও দুটি গাড়ির কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে অন্য গাড়ি দুটির বিষয়ে মো. সজল আহম্মেদ অবগত রয়েছে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যে সজল আহম্মেদ ও আব্দুর রহমান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড ভূইগড় এলাকায় সাইদুর রহমানের কাছ থেকে একটি টয়োটা ভেলফেয়ার জিপ গাড়ি ও একটি টয়োটা হেরিয়ার জিপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা এই চারটি গাড়ি অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এসএস/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে এবার ছিটকে গেলেন গাজানফার
উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফ যে আয়নাঘরে ছিলেন, দেখুন আইয়ামে জাহেলিয়া
বীভৎস দৃশ্য, নৃশংস অবস্থা, এটা কি আমাদেরই জগৎ: আয়নাঘর দেখে প্রধান উপদেষ্টার বিস্ময়
সচিবালয় ঘেরাওয়ে গিয়ে পুলিশের বাধায় সড়কে বসে পড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা