অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস, মুক্তি পাবে বন্দিরাও

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪
অ- অ+

ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে অবশেষে। এ ব্যাপারে চুক্তি করেছে ইজরায়েল ও হামাস। ফিলিস্তিনি জেলবন্দিদের বিনিময়ে ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারেও তারা সম্মত হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন।

বুধবার গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অবসানের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক চুক্তিতে পৌঁছেছেন আলোচনাকারীরা।

এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পর্যায়ের রূপরেখা রয়েছে এবং এতে গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক অন্যদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের সবাই নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ। দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে শুরু হবে এবং এতে অবশিষ্ট সকল ইসরায়েলির মুক্তি, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তৃতীয় ধাপে বাকি সব মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা এবং মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মিশর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের ঠিক আগে এই চুক্তি হলো।

গাজার প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধি দল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও ইসরায়েলিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের অনুমোদন দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এর আগে রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, হামাস যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলিদের প্রত্যাবর্তনের প্রস্তাবে মৌখিক অনুমোদন দিয়েছে এবং চূড়ান্ত লিখিত অনুমোদনের জন্য আরও তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি সফল হয়, তবে পরিকল্পিত পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতি যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে।

এদিকে একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন হলো, যুদ্ধ বন্ধের পর গাজা কে চালাবে? ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডিওন সার বলেছেন, তিনি ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে রাতারাতি দেশে উড়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও চুক্তির ওপর সরকারের ভোটাভুটিতে অংশ নিতে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে ১২০০ সেনা ও অসামরিক নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনেরও বেশি বিদেশি ও ইসরায়েলিকে অপহরণ করে। এরপর থেকেই ইসরায়েলি সেনারা গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, শহরটিতে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল যুদ্ধে ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং উপকূলীয় এলাকাটি ধ্বংসস্তূপের একটি পতিত ভূমিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ তাবু এবং অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে একটু বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।

মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ এবং অন্যান্য এলাকায় এএফপির সাংবাদিকরা দেখেছেন, যুদ্ধ বিরতির খবর শুনে লোকজন দলবদ্ধভাবে জড়ো হচ্ছেন, আলিঙ্গন করছেন এবং তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলছেন। উল্লাসে মেতে উঠেছেন তারা।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাবেক এমপি শেখ হেলালের ব্যক্তিগত সহকারী মুরাদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ আজ
লাইটার জাহাজ সংকট কাটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ 
বিমানবন্দরে প্রবাসীর অর্থ লোপাট, আটক ২
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা