চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিন: সরকারকে বাংলাদেশ ন্যাপ

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজারে অস্থিরতা শুরু হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও উতকন্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ।
দলটির শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘সরকারের অবহেলার ফলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে, ফলে চালের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। আমনের ভরা মৌসুমেও কেন চালের মূল্য কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে জনগন সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা আরও বলেন, ‘এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবে ভরা মৌসুমেও চালের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে মোকামেই। তার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। চালের বাজারে বেসামাল মূল্যবৃদ্ধি উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করছে ভোক্তাদের মধ্যে।’
‘চাল আমদানির সুযোগ ও শুল্ক কমানো হলেও পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। ধানের উৎপাদনে ঘাটতি নেই, ব্যবসায়ীদের কাছে ধান-চাল যথেষ্ট মজুতও রয়েছে। তবুও মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে শুধুমাত্র মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অভাবের কারণে। পূর্বে সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে মিলারদের চাপে রাখলেও এবার তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘অসৎ ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। চালের মূল্যবৃদ্ধির পেছেনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন পাইকার ও মিলাররা। শুধু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করলে চলবে না।’
‘তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিলার ও পাইকাররাও মূল্য বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে চালের বাজারে খাদ্য বিভাগ, ভোক্তা অধিকার বা জেলা প্রশাসনের কোনো রকম তদারকি নেই বললেই চলে। চালের বাজার তদারকির বাইরে রয়েছে। এ কারণেও দফায় দফায় চালের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তারা বলেন, ‘পণ্যের মূল্য হ্রাস করতে আমদানি শুল্ক কমানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। এর মূল কারণও সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা। মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।’
‘যারা চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার ও জনগনকে মুখোমুখি দাড় করাবে। যা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না।’
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এর মধ্যেই সরকার যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করেছে তাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। ভরা মৌসুমেও ভোক্তাকে বেশি মূল্য দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়ছে ভোক্তা শ্রেণি।’
‘বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের উপদেষ্টা আর কর্তা ব্যক্তিরা শুধু শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে নীতি বাক্য বললেই বাজার নিয়ন্ত্রন হবে না। মনে রাখতে জনগনের পেটে ভাত না পড়লে কোন নীতিকথা কাজে লাগে না।’
(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/জেবি)

মন্তব্য করুন