লিটনের অর্ধশতকের পর থিসারার ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ ঢাকার

চলতি বিপিএলে একেবারে ছন্দে নেই শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস। ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ঢাকা। নিজেদের নবম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে রাজধানীর দলটি। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে লিটন-তামিমরা।
আগের ম্যাচে দর্শকদের কাছে থেকে‘ভুয়া-ভুয়া’ দুয়োধ্বনি শুনেছিলেন লিটন দাস। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) সেই লিটন দাসই জ্বলে উঠলেন সিলেটের বিপক্ষে। ৪৮ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ১৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন থিসারা পেরেরা। যার ফলে সিলেটের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানে থামে ঢাকা।
ঢাকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। শুরুটা দেখেশুনেই করেন তারা। প্রথম তিন ওভারেই তুলে নেন ২৭ রান। তবে এরপরের ওভারেই ঘটে ছন্দপতন। ১৬ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিম সাজঘরে ফিরে গেলে ২৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে ঢাকার।
তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর জেপি কোটজেকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন দাস। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জেপি কোটজে। আউট হওয়ার আগে করেন ৮ বলে ৯ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ২৫ রানের জুটি
জেপি কোটজের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেনও। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৬২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।
৬২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঢাকা। অবশেষে এই জুটিকে থামিয়ে সিলেটকে স্বস্তি এনে দেন টিপু সুলতান।
টিপু সুলতানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ২১ বলে ২৪ রান করা সাব্বির রহমান। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।
সাব্বির রহমানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। তাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন লিটন দাস। আগের ম্যাচে দর্শকদের কাছে থেকে‘ভুয়া-ভুয়া’ দুয়োধ্বনি শুনেছিলেন লিটন দাস। আজ সেই লিটন দাসই জ্বলে উঠলেন সিলেটের বিপক্ষে।
সিলেটের বিপক্ষে আজ তিনি ৩৮ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলের রান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে থাকেন তিনি। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি।
অবশেষে এই জুটিকে থামান রুয়েল মিয়া। রুয়েল মিয়ার বলে সুমন খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে করেন ৪৮ বলে ৭০ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৮১ রানের জুটি।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন থিসারা পেরেরাও। ১৭ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত মুকিদুলের ১ রান এবং ফরমানুল্লাহর ৪ রানে ভর করে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি পায় ঢাকা ক্যাপিটালস।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন সাইমুল্লাহ শিনওয়ারি। এ ছাড়াও সুমন খান ও রুয়েল মিয়াহ নেন একটি করে উইকেট।
(ঢাকাটাইমস/২০ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন