স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭ দাবিতে আমরণ অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

সাত কলেজের সঙ্গে না থেকে সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজের কিছু শিক্ষার্থী।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজটির মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা অনশনে বসেছেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি চলছে। তবে এখনো সেখানে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি।’
বাকি যেসব দাবি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের
১। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।
২। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৩। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক খরচ বহন করা।
৪। ২০২৪-২০২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন এবং সাংবাদিকতা সংযোজন।
৫। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ।
৬। শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্য গবেষণাগার নির্মাণের উদ্দেশে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে আলাদা হওয়া সরকারি সাতটি কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এদিন তিনি বলেন, ‘আট বছর আগে একটি সরকার বিবেচনাহীনভাবে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে। যার ফলে জটিল সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই সাত কলেজ নিয়ে নতুন একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।’
তার আগে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে সাত কলেজ থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রবিবার স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে নিউমার্কেট এলাকায় আন্দোলন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাতে তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এরপরই ঢাবি থেকে সাত কলেজকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত আসে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন