বর্তমান সরকারের দায়িত্ব জনগণকে জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়া: টুকু

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জনগণকে জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়া। স্থানীয় নির্বাচন নির্বাচিত সরকার আয়োজন করবে। একটি দল আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বলে চিল্লাচ্ছেন। স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে আওয়ামী লীগকে আবারো মাঠে নিয়ে আসা। স্থানীয় নির্বাচন মানে পাড়ায় পাড়ায় ভাগ-দ্বন্দ্ব। এই ফাঁকে ফ্যাসিস্ট ডুকে পড়বে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদীদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফাঁসির কাষ্ঠে গিয়েও ইমান নষ্ট করিনি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আজকে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ উৎসর্গ আবু সাঈদের জীবন দান। ছাত্ররা দুই হাজার জীবন দিয়েছে আর বিএনপির ৪ হাজার জন জীবন দিয়েছে। আজকে সংস্কার সংস্কার করছি। আপনারা তো পরে সংস্কারের কথা বলছেন। ২০১৮ সালের আগেই বিএনপি সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছিল।’
টুকু বলেন, ‘মোদির রাণী শেখ হাসিনা ভারতীয় মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়েছে- আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। হাসিনাকে দেশে আসতে হবে রাজনীতি করার জন্য নয়, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য আসতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হাসিনা খুনি ও হায়েনা। জাতিসংঘ সব প্রমাণ পেয়েছে সব খুন হত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনা।’
ভারতকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘ভারত আপনারা প্রতিবেশির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। আপনি যদি বড় প্রতিবেশি হয়ে মোড়ল গিরি করতে চান তাহলে দেশের মানুষ মেনে নিবে না। আপনারা বাংলাদেশের ভালো প্রতিবেশি আপনারা প্রমাণ করতে পারছেন না। বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা মানুষের কাছে যান তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নেন।’
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ওবায়দুর রহমান চন্দন প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন