১৫ টাকা কেজির চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

যশোরের শার্শায় হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে চাল বিতণের সময় প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫-২৬ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। বিক্রীত চাল অন্য জায়গায় ওজন দিয়ে এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ দিন শার্শার কায়বা ইউনিয়নের ৭. ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও প্রকৃত পক্ষে দেয়া হয় ২৪ থেকে ২৬ কেজি চাল।
বাগআঁচড়া বাগুড়ী বাজারের একটি দোকান থেকে কার্ডধারীরা ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের মূল্য দিয়ে চাল নিলেও ওজনে পান ২৪ থেকে ২৬ কেজি চাল। সরকারিভাবে বস্তায় সঠিক মাপ থাকার কথা থাকলেও অজানা কারণে প্রতি বস্তায় চাল ৪ থেকে ৬ কেজি কম।
চাল নিতে আসা একাধিক কার্ডধারী জানান, প্রতিবার এখান থেকে চাল নিয়ে অন্য দোকানে মাপ দিলে দেখা যায় ৫ থেকে ৬ কেজি কম।
পরে বিষয়টি যাচাই করতে পাশের একটি দোকান থেকে ওজন মাপার যন্ত্র এনে চাল ওজন দিলে প্রায় প্রতি বস্তায় ৪ থেকে ৬ কেজি কম পাওয়া যায়।
চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে ডিলার শাজাহান কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/মোআ)

মন্তব্য করুন