কুয়াকাটা পৌর বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দখল-বাণিজ্যের অভিযোগ সভাপতির 

কুয়াকাটা পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে দখল-বাণিজ্যসহ বিস্তর অভিযোগ এনেছেন সভাপতি আ. আজিজ মুসল্লি।

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে আ. আজিজ মুসল্লি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের লোকজন আত্মগোপনে চলে গেছেন। মাঠ পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছেন।

‘কিন্তু কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী আ. রশিদ মোল্লা বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্নভাবে অন্যায় কর্ম ও অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড পিলার স্থাপন করে বাণিজ্য করে আসছিল। তার ছেলে আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক (২) দায়িত্ব পালন করছেন।

‘গত ৫ আগস্টের পর আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সুনাম নষ্ট করছেন। পিতা-পুত্র মিলে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জমিতে সাইনবোর্ড ও পিলার স্থাপন করে আসছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’

সম্প্রতি মহিপুর থানা পুলিশের অনুরোধে কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পেট্রোল পাম্পের পিছনের এক টুকরো জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়েছিলেন জানিয়ে আ. আজিজ মুসল্লি বলেন, ‘সেখানে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান হাওলাদার এবং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

‘আমি দখল-বাণিজ্যের সাথে জড়িত কয়েকজনকে রাগারাগি করেছি এবং কয়েকটি পিলার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে। এই বিষয়টি কুয়াকাটা পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক (২) আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার ছোট ভাই মো. মঞ্জু মোল্লা উদ্দেশ্যপ্রণিতভাবে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বিষয়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দখল বাণিজ্যের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বাবা ২০০৪ সালে ২ শতাধিক লোক নিয়ে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এরপর তিনি কুয়াকাটা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের সদস্য।’

এ বিষয়ে মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) অনিমেষ হাওলাদার বলেন, থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/মোআ)