ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল হক

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
সোমবার রাজধানীর কালসিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের ক্যান্টনমেন্ট থানার ৩১ দফার ২৬ তম সমাপনী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে গত ছয় মাসে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা ঐ প্রতিষ্ঠানে বসে বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে।
এসময় ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করার লক্ষ্যে ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
এসময় আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সংবিধান থাকে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছিলো। নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন অবস্থা করছিলো আওয়ামী লীগ কর্মীরাও ভোট দিতে গিয়ে দেখতো তাদের ভোট অন্য কেউ প্রয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখেছিলো তারা ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরলস পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা গত জুলাই আগস্টে ১ দফার দাবিতে গণআন্দোলনে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন,আওয়ামী স্বৈরাচারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আস্থা রেখেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য। তাই দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার করবে।
এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি কোন বিশৃঙ্খলাকারী চাঁদাবাজি দখলদারি ও লুটতরাজকে প্রশ্রয় দেয় না এবং যারা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন তাদেরকেও বিএনপি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেয় না।
এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সতর্ক হয়ে যান! সাবধান হয়ে যান! বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ দখলদারি করে, তারা সমাজের শত্রু। তারা আমাদের দলের কেউ হতে পারে না।
এই সময়ে আমিনুল হক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদেরকে বলার উদ্দেশ্য হলো-এই বিষয়ে আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা যদি সতর্ক না থাকেন। তাহলে আপনারা কিন্তু ভুলপথে ধাবিত হন তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধেও দলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় তিনি বলেন, ৩১ দফা রূপরেখার সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের যে চাওয়া যে প্রত্যাশা। যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ার ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব।
ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি আহ্বায়ক এ্যাড.আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা।
এছাড়াও দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবুল, দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, জিন্নাত আলী, হারুনুর রশিদ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি, থানা সদস্য আলমগীর হোসেন, ওয়াহিদ আলম, মো. শাহাদাত হোসেন, ভাষানটেক থানা বিএনপি আহবায়ক আব্দুল কাদির, উত্তরখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুলতান মাহমুদ বকুল, মোঃপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন