জবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গাবতলী পরিবহনের ১১ বাস আটক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গাবতলী লিংক (প্রাঃ) লিমিটেডের ১১টি বাস ক্যাম্পাসে এনে আটকে রেখেছেন। বুধবার সকালে যাত্রাবাড়ী থেকে বাসগুলো এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অনুষদের সামনে রাখা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কিরণ কুমার রবিদাস (২০২৩-২৪ সেশন, রসায়ন বিভাগ) জানান, মঙ্গলবার গুলিস্তান থেকে কল্যাণপুর যাওয়ার পথে ৮ নম্বর গাবতলী লিংকের একটি বাসে উঠেছিলেন তিনি। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেও বাস না ছাড়ায় অন্যান্য যাত্রীদের মতো তিনিও কন্ডাক্টর ও হেলপারের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে বাসের চালকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, যা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে বাস চলতে শুরু করলে কল্যাণপুরে তাকে নামতে দেওয়া হয়নি। বরং, বাসের কর্মীরা তাকে আটকে রেখে গালিগালাজ, ডাবল ভাড়া আদায় ও মারধর করেন। প্রাণ বাঁচাতে এক বাইক আরোহীর সাহায্যে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন আগেই ভিক্টর ক্লাসিক বাসে এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছিল, এবার গাবতলী লিংকের বাসে আরেক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হলো। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাসগুলো এখান থেকে সরবে না।’
গাবতলী লিংক (প্রাঃ) লিমিটেডের এক হেলপার স্বীকার করেন, তাদের স্টাফদের মধ্যে কেউ এই অপরাধ করে থাকলে তা গুরুতর ভুল হয়েছে এবং এর যথাযথ সমাধান হওয়া উচিত। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রুবেল জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম রিফাত হাসান বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি, তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটেছে, তাই আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। শিক্ষার্থীরা যেটা চাইবে সেটাই করা হবে।’
(ঢাকা টাইমস/১৯মার্চ/এসএ)

মন্তব্য করুন