শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার নির্বাহী আদেশে আজ সই করবেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:০২| আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭
অ- অ+

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ (বৃহস্পতিবার) স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা আমেরিকান রক্ষণশীলদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পূরণ করবে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এখবর জানায়।

বুধবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে এই আদেশ স্বাক্ষরিত হবে, কারণ, ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।

ট্রাম্পের শিক্ষা সচিব, ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের প্রাক্তন সিইও লিন্ডা ম্যাকমাহন ৩ মার্চ শপথ গ্রহণের পরপরই একটি স্মারকলিপি জারি করেন যে সংস্থাটি তার ‘চূড়ান্ত মিশন’ শুরু করবে। পরের সপ্তাহে তিনি বিভাগের কর্মীসংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেন।

৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার জন্য প্রচারণা চালানোর সময় শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি বিভাগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলোর কাছে হস্তান্তর করবেন, যা বহু দশক ধরে অনেক রিপাবলিকানের ইচ্ছা ছিল।

ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল ফেডারেল কোষাগার থেকে আসে। বাকি অর্থ রাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায় দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

কিন্তু নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিল অমূল্য এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে।

পলিটিকোর হাতে আসা একটি অনুলিপি অনুসারে, আদেশটি ম্যাকমাহনকে বিভাগটি বন্ধ করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ’ করার নির্দেশ দিয়েছে। পত্রিকাটি বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান গভর্নর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে।

একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাদ দেওয়া হবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনুদান প্রদান এবং দেশজুড়ে নিম্ন আয়ের স্কুলগুলোর জন্য তহবিল প্রদান।

আইন অনুসারে, ১৯৭৯ সালে তৈরি শিক্ষা বিভাগটি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না এবং রিপাবলিকানদের এটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভোট নেই।

তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসনের অধীনে অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতো বিভাগটি প্রোগ্রাম এবং কর্মচারীদের উপর আরও কাটছাঁট দেখতে পাবে, যা এর কাজকে উল্লেখযোগ্যভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে।

এই পদক্ষেপগুলো ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যার দ্রুত পদক্ষেপগুলো সম্ভবত নির্বাহী কর্তৃত্ব অতিক্রম করার জন্য আদালতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাউজানের ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই: গিয়াস কাদের
ফেনীর বন‍্যা সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের পদক্ষেপের দাবি মঞ্জুর
জামায়াত আমিরের হার্টে ব্লক, জরুরি সার্জারির সিদ্ধান্ত
সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টা এনসিপির কেউ নয়: নাহিদ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা