ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব দিতে অস্বীকৃতি, যুবদল নেতাকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩০
অ- অ+

ব্যাবসায়িক অংশীদারিত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি ও যুবদলের সমর্থক দুই ভাইয়ের নামে জুলাই আন্দোলনে জড়িত অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এই ঘটনা তুলে ধরে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব)-এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আবু সাঈদ সরকার। আবু সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার হরিরবাড়ী গ্রামে। মামলায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামও আসামি হয়েছেন।

আবু সাঈদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভালুকা উপজেলা নেতা ছিল। এখন ভালুকা যুবদলের সক্রিয় নেতা। সাইফুল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সেই সময় মাষ্টারবাড়ীতে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন নির্মাণ শ্রমিক শহীদ হন। আমরা তোফাজ্জল হত্যার পর থেকে তার বিচারের দাবিতে রাজপথে সরব ছিলাম। কিন্তু ২১ মার্চ তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় মামলা হলে সেখানে আমাকে ও আমার ছোটভাইকে আসামি করা হয়েছে। আর এই কাজটি করেছে ওয়ার্ড যুবদল নেতা শরিফ; যে কি-না বাউন্ডারি শহিদ ও মোর্শেদ গ্রুপের ক্যাডার।

আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘আমার ভাই সাইফুল ইসলাম ‘রাইদা কালেকশন লিমিটেডে’র সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা থেকে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক বাউন্ডারী শহিদকে ৫০ শতাংশ ব্যবসার লভ্যাংশ দাবি করে। তা না দিলে ফ্যাক্টরি থেকে কোনো মালামাল এমনকি ময়লা পর্যন্ত বাইরে বের করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। তাদের বখরা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মূলত সেই কারণেই ২১ মার্চ আমার ভাইয়ের নামে মামলা করে।’

ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী বলেন, আগেও তোফাজ্জেল হত্যার ঘটনায় মামলা হয়, তবে সেখানে সাইফুলের নাম ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে সাইফুলের নাম আসায় আমরা অবাক হয়েছি। এখন আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তাদের ভয়ে নিজের বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না। আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।’

আবু সাঈদ জানান, ১৫ নভেম্বর ফ্যাক্টরি থেকে ময়লার গাড়ি বাহির করতে গেলে শহীদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাদের একজনের হাত কেটে ফেলে ও অন্য একজনের মাথায় কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। বাউন্ডারী শহীদের সন্ত্রাসীরা ১৫টি মটর সাইকেল ও একটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এরপরও পুনরায় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে আসার সময় যৌথবাহিনী অস্ত্রসহ নয়জনকে থানায় সোপর্দ করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। একইসঙ্গে থানায় মামলা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসএস/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইমনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত জয়
নির্বাচন কমিশন কখন তফসিল ঘোষণা করবে জাতি জানতে চায়: রিজভী
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত
ইমনের সেঞ্চুরিতে আমিরাতকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা