ভৈরবে হাঁস চুরির ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির ঘটনায় প্রাণ গেল জনি মিয়া (১৯) নামের এক যুবকের। জনির পরিবারের অভিযোগ, হাঁস চুরির অপবাদে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাশের বাড়ির হাঁসমালিক।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে পৌর শহরের কালিপুর নয়াহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জনি পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের নয়াহাটি এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে পাশের বাড়ির হারুন মিয়ার ঘর থেকে সাতটি হাঁস চুরি হয়। এই ঘটনায় জনিকে সন্দেহ করা হয়। হাঁসের মালিক হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিন ঘর থেকে জনিকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে ঘরে আটকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। জনিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা জন্য বাজিতপুর জহরুল ইসলাম হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় জনির।
জনির মা জমিনা খাতুন বলেন, ‘হারুন মিয়ার ছেলে আল আমিন আমার ছেলেকে হাঁস চুরির ঘটনায় সন্দেহ করে ঘর থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও মারধর করে মেরে ফেলেছে।’
তার ছেলে হাঁস চুরির ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করে জমিনা খাতুন বলেন, ‘তবে কে চুরি করেছে সেটা সে জানত। তারা (আল আমিন) বলেছে যদি হাঁস ফেরত এনে দেয় তাহলে তাকে ছেড়ে দিবে। আমি ও আমার ছেলে তাদের সাথে নিয়ে চুরি হওয়া ৭টি হাঁস দুই হাজার টাকা দিয়ে ফেরত আনা হয়। তারপরও আল আমিনসহ কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। আমি আমার একমাত্র ছেলের হত্যার বিচার চাই।’
হারুন মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, ‘বুধবার রাতে আমার ঘরের ভিতর থেকে দুটি চিনাই হাঁস ও পাঁচটি রাজা হাঁস চুরি হয়। জনিকে আটক করে আমার ছেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হাঁস চুরির ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাকে সাথে নিয়ে তার মা চুরি হওয়া হাঁস উদ্ধার করে দেয়। তাকে আমার ছেলেরা কোনো মারধোর করেনি। জনি তার মার বকাবকি শুনি ঘরের ভিতরে ইঁদুরের ট্যাবলেট খেয়ে মারা যায়।’
এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতাল রির্পোট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে । এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/মোআ)

মন্তব্য করুন