বিমানবন্দরে মানবপাচারের চেষ্টাকালে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজন গ্রেপ্তার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানবপাচারের চেষ্টাকালে দুই চীনা নাগরিকসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চীনের হু জুনজুন, জ্যং লেইজি ও বাংলাদেশের মো. নয়ন আলি (৩০)।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। এদিন গাইবান্ধার শ্রাবন্তী আক্তার (১৯) বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে পুলিশকে জানান, তাকে চীনে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় এপিবিএন সদস্যরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে দুই চীনা নাগরিককে আটক করেন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি পাচারকারী নয়ন আলিকে গ্রেপ্তার করে। তবে একই চক্রের অন্য সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত এবং বসুন্ধরায় অবস্থান করছিলেন। বাংলাদেশে এসে তারা স্থানীয় দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং সহজ-সরল নারীদের টার্গেট করে প্রতারণামূলকভাবে চীনে পাচারের ফাঁদ পেতে রাখেন। ভুক্তভোগীকে প্রথমে প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চীনা নাগরিক হু জুনজুনের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করানো হয়। পরবর্তীতে তার নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এবং একটি ফ্লাইটে চীনে পাঠানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা রাশিদা (৪৩) বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে এপিবিএন-এর পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, “সম্প্রতি এটি চীনা নাগরিকদের জড়িত মানবপাচারের দ্বিতীয় ঘটনা। এই চক্রগুলো গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে চীনে পাচারের চেষ্টা করছে। আমরা প্রতিটি তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
তিনি আরও বরেন, “মানবপাচার রোধে এপিবিএন জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের কঠোর প্রয়োগে অঙ্গীকারবদ্ধভাবে কাজ করছে।”
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন