চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানের দরপত্র নিয়ে ধূম্রজাল

চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকার দরপত্র নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন।
তাদের মতে, কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দের লোককে কাজ দিতে দরপত্র নিয়ে লুকোচুরি করছেন।
চাঁদপুর জেলা সমাজকল্যাণ কার্যালয় সম্প্রতি সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য খাদ্য সামগ্রী, পোষাক শিক্ষা ও ওষুধ প্রসাধনী এবং বিবিধ মালামাল সরবরাহের লক্ষ্যে একটি দরপত্র আহ্বান করেছে।
সোমবার এই দরপত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মূল্যায়ন করা হবে। তবে দরপত্র প্রক্রিয়াটি নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব, গোপনীয়তা এবং একটি পরিচিত সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
দরপত্র ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি অনেকটা নিরবেই জাতীয় দুইটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। স্থানীয় ২১ টির মধ্যে সরকারি তালিকাভুক্ত ১০টি পত্রিকা রয়েছে। তার একটিতেও বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ হয়নি। যার ফলে দরপত্র ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসেনি। এছাড়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি, সচেতন ঠিকাদার দরপত্র প্রক্রিয়াটি পুনরায় উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে পরিচালনা করার দাবি জানান।
যারা দরপত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেনঃ গাজী ট্রেডার্স (ভোলা), সোহাগ মেডিকেল হল (নতুন বাজার, চাঁদপুর), সেলিম খান (শিলন্দিয়া, চাঁদপুর), হারুনুর রশিদ হাওলাদার (শিলন্দিয়া, চাঁদপুর), মেসার্স রহমান ব্রাদার্স (শিলন্দিয়া, চাঁদপুর), লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার (কুমিল্লা রোড, চাঁদপুর) মেসার্স ইমা এন্টারপ্রাইজ (ভোলা)।জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য সরকারি শিশু পরিবার ও বাক-শ্রবণ এই দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য মে মাসের ৬ তারিখে দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় প্রকাশিক হয়েছে। গত ২৭ মে দরপত্র জমার শেষ সময় ছিল এবং ২৮ মে আমরা দরপত্র অপেন করি। তিনি আরও জানান, দুইটি গ্রুপে মোট ৩০টি দরপত্র জমা হয়েছে। এখানে ৭টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার (২ জুন) তার মূল্যায়ন হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এই দরপত্রের সভাপতি। এর সাথে আরো ৬ রয়েছে, তারা মূল্যায়ন করে দেখবেন কাকে দেয়া যায়। আর স্বচ্ছতার দিক থেকে এখন পর্যন্ত যতটুকু কাজ করা হয়েছে, তা স্বচ্ছতার মাধ্যমেই হয়েছে। আমরা ওপেন টেন্ডার করেছি, এখানে অস্বচ্ছতার কিছু নেই।
(ঢাকা টাইমস/০২জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন