মধ্যরাতের নাটক শেষে থানায় রাতযাপন, দুপুরে ‘মুক্ত’ মুরাদনগরের আ.লীগ ইউপি চেয়ারম্যান

কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহারকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ ব্লকে ইকবাল বাহারের বাসা ঘিরে রাখে কিছু জনতা। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
অবস্থা বেগতিক দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশি সহায়তা চান চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার। পরে সেনাবাহিনীকেও কল করেন তিনি। খবর পেয়ে ভাটারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন ইকবাল বাহার। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি (কুমিল্লা-৩) ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইকবাল বাহারকে শ্রীকাইল সরকারি কলেজ মাঠে বিশেষ সংবর্ধনা দেন ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এর আগে কিছু লোক তার বসুন্ধরার বাসায় মব সৃষ্টি করে। এসময় তিনি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। আমরা ভোর চারটার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনি; দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান ছাড়া পেলেন কীভাবে- জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছেন এটা সত্য; তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার কোনো পদপদবি নেই। আর তার বিরুদ্ধে ঢাকা কিংবা এলাকায় কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। আমার বাঙ্গরা থানায় যোগযোগ করেছিলাম; তারাও ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তাই মুসলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
অপর একটি সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, সরকারের একজন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর বিশেষ ফোন কল ও হস্তক্ষেপে ইকবাল বাহারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির মনোনয়নে চেয়ারম্যান হওয়া অনেক জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করে সরকার। সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার স্বপদে বহাল রয়েছেন। ওই বিশেষ ব্যক্তি তাকে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল রেখেছেন। সেখানে প্রশাসক বসাতে দেননি তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন